Advertisement
Advertisement
Sikh

পাগড়ি খুলতে বাধ্য করা হয়েছে! আমেরিকা থেকে বিতাড়িত শিখদের ভাইরাল ভিডিওয় বিতর্ক

ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিদেশমন্ত্রককে এবিষয়ে হস্তক্ষেপের আর্জি শিরোমনি অকালি দলের নেতার।

Sikh deportees seen without turbans, video goes viral and top religious body slams US
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 17, 2025 11:37 am
  • Updated:February 17, 2025 11:44 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে তো বিতাড়নের হিড়িক, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে হাতে-পায়ে শিকল পরিয়ে ফেরত পাঠানো। তার উপর ধর্মাচরণ থেকে বঞ্চিত করার মতো গুরুতর অভিযোগ। আমেরিকা থেকে বিতাড়িত হয়ে রবিবার রাতে যাঁরা অমৃতসর বিমানবন্দরে নেমেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ শিখ। অথচ তাঁদের মাথায় নেই পাগড়ি! ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে এই দৃশ্য দেখার পরই সমালোচনার ঝড়। যদিও ওই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’। তা দেখে ব্যাপক ক্ষিপ্ত শিখদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংগঠন শিরোমনি গুরুদ্বার পারবন্ধক কমিটি। অভিযোগ, শিখদের মাথার পাগড়ি খুলে বিমানে ফিরতে বাধ্য করা হয়েছে।

রবিবার রাতে ১১৬ জন অভিবাসীকে নিয়ে অমৃতসর বিমানবন্দরে নেমেছে মার্কিন সেনার একটি বিমান। সেখান থেকে বেরনোর সময় দেখা যায়, কয়েকজন শিখের মাথায় নেই পাগড়ি। বিমানবন্দরের কাচের দরজা দিয়ে তাঁদের ওই ভিডিও নিমেষে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। শিখ ধর্মাবলম্বীদের কাছে পাগড়ি অত্যন্ত পবিত্র। তাঁদের ধর্মাচরণের একটি অঙ্গ। পাগড়িহীন শিখ যেমন নিজের সম্প্রদায়ের জগতে, তেমনই বহির্জগতেও নিন্দিত। সেখানে আমেরিকা থেকে ফেরত পাঠানো শিখদের পাগড়ি খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠায় তা নিয়ে স্বভাবতই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

Advertisement

শিরোমনি গুরুদ্বার পারবন্ধক কমিটি বা এসজিপিসি-র তরফে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গুরচরণ সিং গ্রেওয়ালের কথায়, “ভারতীয়দের এভাবে শিকলবন্দি করে আনাটা অত্যন্ত আক্ষেপের। এমনকি শিখ সম্প্রদায়ের যাঁরা ছিলেন, তাঁদের পাগড়ি পরতে দেওয়া হয়নি। পাগড়ি আমাদের ধর্মের অঙ্গ।” বিষয়টি তাঁরা ট্রাম্প প্রশাসনের নজরে আনবেন বলে জানান গুরচরণ সিং গ্রেওয়াল।

অন্যদিকে, শিরোমনি অকালি দলের তরফে বিক্রম সিং মাজিথিয়া এনিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। বিদেশমন্ত্রকের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, দ্রুত বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে, যাতে পরবর্তীতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়। সবমিলিয়ে আমেরিকা থেকে ‘অমানবিক’ভাবে ভারতীয়দের বিতাড়নের সঙ্গে এবার জড়িয়ে গেল ধর্মাচরণে বাধাদানের অভিযোগও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement