Advertisement
Advertisement

পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছিল সেনা, বুলন্দশহর কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়

ওই সেনা জওয়ানের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷

Soldier seen in Bulandshahr's violence video
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 7, 2018 9:33 pm
  • Updated:December 7, 2018 9:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুলন্দশহর কাণ্ড নিয়ে উত্তপ্ত গোটা দেশ৷ পুলিশ আধিকারিক সুবোধ কুমার সিংকে কে বা কারা খুন করল, তা নিয়ে চলছে চাপানউতোর৷ এরই মাঝে একটি ভিডিও ঘিরে নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে৷ তদন্তকারীদের হাতে আসা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, পুলিশ আধিকারিককে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে এক সেনা জওয়ান৷ এর আগে যদিও বুলন্দশহর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত হিসাবে যোগেশ রাজের নাম উঠে এসেছিল৷ কিন্তু নয়া এই গুঞ্জনের পর ওই সেনা জওয়ানের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷

[বুলন্দশহর কাণ্ডের রিপোর্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন যোগী]

পুলিশের দাবি, ভিডিওতে দেখতে পাওয়া সেনা জওয়ানের নাম জিতু ফৌজি৷ বুলন্দশহরে বাড়ি হলেও কর্মসূত্রে তিনি থাকতেন শ্রীনগরে৷ বুলন্দশহর কাণ্ডের দিনকয়েক আগেই জিতু কাশ্মীর থেকে এসেছিলেন তাঁর গ্রামে। গত সোমবার জঙ্গলে পশুর মাংস পড়ে থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হিংসার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুলন্দশহর৷ গুলি করে খুন করা হয় পুলিশ ইনস্পেক্টর সুবোধ কুমার সিংকে। মৃত্যু হয় আরও একজনের। ঘটনার শুরু থেকে বজরং দলের এক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। কিন্তু একাধিক ভিডিও পুলিশের হাতে আসার পরই বদলে গিয়েছে তদন্তের মোড়৷ ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ঘটনার দিন পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বচসা হয় জিতুর৷ এরপর খুব সামনে থেকে গুলি চালানোরও মুহূর্তও ধরা পড়ে ভিডিওয়৷ হিংসার ঘটনার পর সোমবারই তড়িঘড়ি শ্রীনগরে পালিয়ে যান জিতু।

Advertisement

[‘আমি নির্দোষ’, ভিডিও বার্তায় দাবি বুলন্দশহর কাণ্ডে মূল অভিযুক্তর]

যদিও জিতুর মা পুলিশের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার ছেলে এ কাজ করেছে, বিশ্বাস করি না। ঘটনার দিন ও কার্গিলে ছিল।’’ তাঁর আরও দাবি, ‘‘সত্যিই যদি জিতু ওই ঘটনায় জড়িত থাকে, তবে ওর যা শাস্তি হওয়ার তা হোক।’’

Advertisement

Bulandsahar violence

যদিও স্থানীয়দের মধ্যে কারও কারও দাবি ওইদিন ঘটনাস্থলেই ছিলেন জিতু৷ বুলন্দশহর পুলিশের দুটি টিম ইতিমধ্যেই জিতুর খোঁজে কাশ্মীরে গিয়েছে। পুলিশের দাবি, খুব তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার করা হবে তাকে৷ এদিকে, এই ঘটনায় এখনও জারি ধরপাকড়৷ শুক্রবার পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চারজন৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ