Advertisement
Advertisement

Breaking News

এইমস কর্তা

‘করোনা মারাত্মক নয়, রোগীদের প্রতি ছুঁৎমার্গের ফলেই বাড়ছে মৃত্যু’, দাবি AIMS কর্তার

আতঙ্কের কারণে চিকিৎসকদের কাছে আসতে দেরি করছেন আক্রান্তরা।

Stigmatising Covid-19 patients leading to higher mortality, says AIIMS Director
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 24, 2020 11:13 am
  • Updated:April 24, 2020 11:13 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন করেও আটকানো যাচ্ছে না করোনাকে। ভারতে ক্রমশ জাল বিস্তার করছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে করোনার দ্রুত সংক্রমণের কারণ জানালেন নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সেস বা এইমসের ডিরেক্টর, ড: রণদীপ গুলেরিয়া। বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, করোনা থেকে সেরে ওঠা রোগীদের প্রতি ছুঁৎমার্গই বাড়িয়ে দিচ্ছে করোনার সংক্রমণ।

রণদীপ গুলেরিয়া বলেছেন, যাঁরা করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন তাঁর ছুঁৎমার্গের শিকার। অনেকেই তাঁদের দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। ফলে বাড়ছে আতঙ্ক। করোনা রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর ফলে অনেকে, যাঁদের করোনা উপসর্গ দেখা দিচ্ছে, তাঁরা সামনে আসছে না। ভবিষ্যতে তাঁদেরও যাতে এই সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়, সেই কারণে নিজেদের রোগ লুকিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। জানান, আক্রান্ত রোগীরা যখন চিকিৎসকদের কাছে যাচ্ছেন, তখন অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে তাঁদের বাঁচিয়ে তোলা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যুর হার।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: অসুস্থ ভিনরাজ্যে আটকে পড়া যুবক, ২০ হাজার টাকা সাহায্য পুলিশকর্মীর ]

এইমসের ডিরেক্টর আরও জানান, করোনা কোনও মারাত্মক রোগ নয়। ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ রোগীকে কেবলমাত্র অক্সিজেন দিয়েই সুস্থ করে তোলা সম্ভব। ৫ শতাংশের মতো রোগীর ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হয়। কিন্তু করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ার পরও মানুষ এত দেরিতে চিকিৎসকদের কাছে আসছেন, যে অনেকটাই দেরি হয়ে যাচ্ছে। রোগের শনাক্তকরণেও দেরি হচ্ছে। ফলে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তাই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসা মানুষদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের দূরে সরিয়ে না রেখে তাদের প্রতি সহানুভূতি দেখানো উচিত। তাঁদের পরিবারকে কীভাবে সহায়তা করা যায়, সেদিকে আমাদের নজর দেওয়া প্রয়োজন। আরও বেশি সংখ্যক মানুষের পরীক্ষার করাতে হবে। তবেই করোনা মোকাবিলা সম্ভব। যাঁরা করোনা থেকে সেরে উঠেছেন, তাঁদের প্লাজমা আরও অনেক রোগীকে বাঁচিয়ে তুলতে পারে। অনেক করোনা জয়ীই স্বেচ্ছায় তাঁদের প্লাজমা চিকিৎসার জন্য দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এইমসের ডিরেক্টর।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভেঙেছে ৬ মাসের শিশু! মামলা রুজু পুলিশের ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ