Advertisement
Advertisement

সাধারণতন্ত্র দিবস থেকে প্রতিদিন স্কুলের প্রার্থনায় পড়তে হবে সংবিধানের প্রস্তাবনা

এমন সিদ্ধান্তকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

Students will read Preamble to Constitution in schools: Maharashtra govt
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:January 22, 2020 11:54 am
  • Updated:January 22, 2020 11:54 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ-মিছিল। আর ঠিক সেই সময়ই স্কুলে সংবিধানের প্রস্তাবনা পড়া বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করল মহারাষ্ট্র সরকার। উদ্ধব ঠাকরের সরকারের নির্দেশ, ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবস থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে প্রার্থনার সময় পড়ুয়াদের পাঠ করতে হবে সংবিধানের প্রস্তাবনা।

মঙ্গলবার মহারাষ্ট্রের স্কুল শিক্ষামন্ত্রী বর্ষা গায়কোয়াড় নয়া নিয়মের কথা জানান। জনস্বার্থে ‘সার্বভৌমত্ব সংবিধানচে’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “ভারতীয় সংবিধানের গুরুত্ব, স্বাধীনতা, বিচারব্যবস্থা, সাম্য, ভাতৃত্ববোধ ও মূল্যবোধের সম্পর্কে সকলের অবগত হওয়া প্রয়োজন। সংবিধান সম্পর্ক সম্মক জ্ঞান জরুরি। সেই কারণে প্রতিদিন সকালে প্রার্থনার সময় ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। এতে পড়ুয়ারা আরও বেশি দায়িত্ববান এবং উন্নত নাগরিক হয়ে উঠতে পারবে। ২০১৩ সালে তৎকালীন কংগ্রেস-এনসিপি জোট সরকার এই নিয়ম লাগুর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা ২৬ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করছি।” রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে এই নির্দেশিকা পালন করা হচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিক্ষা কমিশনারকে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শপিং মল-রেস্তরাঁ রাতভর খোলা থাকলে বাড়বে ধর্ষণ! বিজেপি নেতার মন্তব্যে বিতর্ক]

নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে স্কুলে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠের সিদ্ধান্তকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কারণ ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র সরকার বলেছে, সে রাজ্য যাতে CAA, NPR এবং NRC থাবা বসাতে না পারে, সে ব্যবস্থা করা হবে। এবার প্রস্তাবনা পাঠের মাধ্যমে বোঝানোর চেষ্টা হবে যে, নাগরিকত্ব আইনের ফলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা ও সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হচ্ছে। অর্থাৎ এটি অসংবিধানিক।

Advertisement

শিব শিক্ষণ সংস্থার সভাপতি রাজেন্দ্র প্রধান নির্দেশিকাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “এটি ভাল উদ্যোগ। বর্তমানে কেউই সেভাবে সংবিধান পড়ে না। আমার সন্তানরা জাতীয় সংগীত গায়। সেভাবেই সংবিধান পড়লেও তারা উপকৃত হবে। এটা পড়তে মিনিট খানেকও সময় লাগবে না। কিন্তু অনেকখানি কাজে লাগবে।”

[আরও পড়ুন: ‘মসজিদে অস্ত্র মজুত রাখে মুসলিমরা’, কর্ণাটকের বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে বিতর্ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ