Advertisement
Advertisement
সুরাট পুরনিগম

নগ্ন অবস্থায় সার দিয়ে দাঁড়িয়ে মহিলা পুরকর্মীরা, স্বাস্থ্যপরীক্ষার নামে বিতর্ক গুজরাটে

পুরনিগমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের মহিলা পুরকর্মীদের।

Surat Municipality harrash Woman Employee during Heath Check up

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:February 21, 2020 5:25 pm
  • Updated:February 21, 2020 5:25 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না গুজরাটের। পুরনিগমে মহিলা ট্রেনি ক্লার্কদের স্বাস্থ‌্যপরীক্ষার জন‌্য হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ নগ্ন অবস্থায় দাঁড় করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল। একইসঙ্গে মহিলা ডাক্তাররা নানান ব‌্যক্তিগত প্রশ্ন করে ওই মহিলাদের বিদ্ধ করেন বলেও অভিযোগ জানায় মহিলা কর্মীরা। অশালীন এই ঘটনা ঘটেছে গুজরাটের সুরাটে। ঠিক এক সপ্তাহ আগেই ছাত্রীদের ঋতুস্রাব হয়েছে কি না তা দেখতে তাদের প্রায় নগ্ন করে পরীক্ষা করে ভুজের কলেজ হস্টেল কর্তৃপক্ষ। সেই ঘটনায় নিন্দার ঝড় বয়ে যায় দেশজুড়ে। তারপর এক সপ্তাহ পেরতে না পেরতেই সুরাটের এই ঘটনা ফের বিতর্ক ছড়াল।

পুর কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে কর্মচারীদের সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, শতাধিক মহিলা কর্মীকে বাধ্যতামূলক ফিটনেস টেস্টের জন্য সুরাট মিউনিসিপ্যাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চে গিয়ে অত্যন্ত অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়। এক শীর্ষস্তরের কর্মী বলেন, “মহিলা কর্মীদের জোর করে একসঙ্গে নগ্ন করে দাঁড় করানো হয়। একটি ঘরে দশজন করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এক প্রকার জোর করেই তাঁদের নগ্ন থাকতে বাধ‌্য করেন চিকিৎসকরা। ফলে মহিলারাও তাঁদের ধমকে কোনও প্রতিবাদ করতে পারেননি। মহিলা কর্মীদের শারীরিক পরীক্ষা করতে এইভাবে অশালীন আচরণ করা হয়। কারণ তাদের শারীরিক পরীক্ষা করার সময় ঘরের দরজাটাও ঠিকমতো বন্ধ ছিল না। শুধুমাত্র একটি পাতলা পর্দা টাঙানো ছিল দরজার সামনে। মাঝে মাঝেই সেই পর্দা হাওয়ায় উড়ছিল হাওয়ায়। বাইরের লোকের কৌতূহলী নজর আরও লজ্জায় ফেলে মহিলা কর্মীদের।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে মেয়ে ভুল করেছে’, স্বীকার করলেন অমূল্যার বাবা]

শুধু এই কাজ করেই থামেনি সুরাট মিউনিসিপ‌্যাল কর্তৃপক্ষ। ওই ট্রেনি কর্মীদের বিতর্কিত যন্ত্রণাদায়ক ফিংগার টেস্ট দিতে হয় বলেও অভিযোগ। অবিবাহিত মহিলাদের থেকে জানতে চাওয়া হয়, তাঁরা কোনও সময় অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন কি না। যে মহিলা ডাক্তাররা গাইনোকলজিক্যাল টেস্ট নিচ্ছিলেন, তাঁদের কয়েকজন অত্যন্ত রূঢ় ব্যবহার করেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন। পুরুষদের ক্ষেত্রে সাধারণ ফিটনেস টেস্ট হয়েছে। যেখানে চোখ, ইএনটি, হার্ট ও ফুসফুসের পরীক্ষা-সহ সার্বিক পরীক্ষা হয়। তিন বছর ট্রেনিং সম্পূর্ণ করার পর কনফারমেশন পেতে এই মেডিক্যাল টেস্ট করানো বাধ্যতামূলক। কর্মচারীদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এ এ শেখের বক্তব‌্য, “এই অভিযোগ শোনার পর অবিলম্বে এমন অমানবিক পরীক্ষা বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। কোথাও মহিলা কর্মীদের এমন মেডিক্যাল টেস্ট দিতে হয় বলে শুনিনি।” ফিংগার টেস্টেও ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন সবাই।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ