সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এমন নির্দেশিকাও যে আসতে পারে কল্পনা করেননি হরিয়ানার শিক্ষকরা। কিন্তু বাস্তব ভাবনার থেকেও সত্যি। আর তাই এবার পুরোহিতদের কাজ করার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ নেওয়ার নির্দেশ দিল এমএল খাট্টার প্রশাসন।
[ ফের সুদের হার কমাল এসবিআই, এবার কোপ ফিক্সড ডিপোজিটে ]
যমুনানগর মন্দির ঘিরে সামনেই বড় মেলা। সে সময় পুরোহিতদের দরকার। সরকার ঠিক করেছে, এবার সে কাজেই লাগানো হবে শিক্ষকদের। ঠিক যেরকম নির্বাচনের কাজে লাগানো হয় তাঁদের। অদ্ভুত এই নির্দেশিকা হরিয়ানা সরকারের। সেখানে স্পষ্টই বলা হয়েছে, পুরোহিতদের থেকে প্রশিক্ষণ নিতে হবে শিক্ষকদের। তাদের পুজোপাঠ করা থেকে শুরু করে প্রসাদ বিতরণ পর্যন্ত সবই করতে হবে। যে শিক্ষকরা এ নির্দেশিকা মানতে গররাজি হবেন, তাঁদের কড়া শাস্তির মুখেও পড়তে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
[ যাত্রী পরিষেবায় বাড়তি নজর রেলের, আসছে ৬টি নতুন ট্রেন ]
আচমকা আসা এই নির্দেশিকায় হতবাক শিক্ষকমহল। তাদের একাংশ এ ব্যাপারে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন। অন্যদিকে, শাস্তির খাঁড়া ঝোলায় খানিকটা আশঙ্কাতেও আছেন বিদ্রোহী শিক্ষকরা। এদিকে তাঁদের সঙ্গ দিচ্ছেন বিরোধীরা। পঠনপাঠন শিকেয় তুলে মেলার কাজে কেন শিক্ষকদের কাজে লাগানো হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এর আগে এই মাসেরই গোড়ার দিকে হরিয়ানা সরকার এরকমই আরও একটি নির্দেশিকা এনেছিল। বলা হয়েছিল, গুরুগ্রামে কোনও নতুন মাংসের দোকানের লাইসেন্স দেওয়া হবে না। তা নিয়ে খাট্টার সরকারের বিরুদ্ধে গৈরিকীকরণের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে কোনও রাজনীতির রং দেখছেন বিরোধীরা। কিন্তু কীভাবে শিক্ষকদের এরকম একটা কাজে বাধ্য করা হচ্ছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ গোপন থাকেনি। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বহু মানুষ নেটদুনিয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। দেশের শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে বারবারই নানা আলোচনা হয়। কিন্তু শিক্ষকদেরই যদি এরকম কাজে নিযোগ করা হয়, তবে শিক্ষার মান আর কোথায় দাঁড়াবে? প্রশ্ন নেটিজেনদের একাংশের।
[ জিএসটি-র কল্যাণে ডিসেম্বরেই ‘মেগা সেল’, পোয়াবারো ক্রেতাদের ]