সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাস্তব সিনেমাকে অনুপ্রাণিত করেই থাকে। আবার সিনেমার প্রতিফলনও বাস্তবে দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু এই প্রতিফলন সাংঘাতিক অপরাধের রূপ নিল তেলেঙ্গানায়। স্বামীকে খুন করে প্রেমিকের মুখে অ্যাসিড ঢেলে তাঁকে স্বামী সাজানোর পরিকল্পনা করেছিল তেলেঙ্গানার এক মহিলা। শেষে আধারের মাধ্যমেই ধরা পড়ল পুলিশের হাতে।
[অর্থাভাবে বিয়ে বন্ধ, চার হাত এক হল বনদপ্তরের উদ্যোগে]
নিহতের নাম সুধাকর রেড্ডি। যাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্ত্রী স্বাতী রেড্ডি ও তার প্রেমিক রাজেশকে। জানা গিয়েছে, সিনেমা দেখার নেশা ছিল স্বাতীর। রাম চরন, আল্লু অর্জুনের সুপারহিট তেলুগু ছবি ‘ইয়েভাডু’ দেখে স্বামীকে খুনের ছক কষে সে। ঘটনাটি ঘটে নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখ। প্রথমে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে রাজেশের সাহায্যে সুধাকরকে খুন করে স্বাতী। মৃতদেহের মুখ অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তারপর প্রেমিকের মুখেও অ্যাসিড ছুড়ে দেয়। তাকে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে স্বামী বলে পরিচয় দেয়। শ্বশুরবাড়িতেও ফোন করে জানায় দুর্ঘটনায় সুধাকরের মুখ পুরোটাই পুড়ে গিয়েছে।
[গণধর্ষণের পর আশ্রয়দাতার হাতেই ফের ধর্ষিতা ক্যানসার আক্রান্ত কিশোরী]
ছেলের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু রাজেশের ব্যবহার দেখে তাঁদের সন্দেহ হয়। পুলিশকে গোটা ঘটনা জানানো হয়। পুলিশ এসে রাজেশের ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয় এবং তা সুধাকরের আধার কার্ডের জন্য নেওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়। ফল যা হওয়ার তাই হয়। পুলিশের জেরার মুখে রাজেশ ও স্বাতী ভেঙে পড়ে। স্বাতী জানায়, রাজেশের মুখের প্লাস্টিক সার্জারি করে তাঁকে সুধাকরের পরিচয় দিতে চেয়েছিল সে। এভাবে তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে থাকাও হত, আর স্বামীর পরিচয়ও পাওয়া যেত। কিন্তু আধার কার্ডই বাধা হয়ে দাঁড়াল স্বাতীর পরিকল্পনায়। খুন ও খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্বাতী ও রাজেশকে। খুব শিগগিরিই আদালতে তোলা হবে যুগলকে। সুধাকরের দেহের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
[প্রেমেই বুঁদ, ট্রেনের হর্ন শুনতে না পেয়ে কাটা পড়ল কিশোর-কিশোরী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.