সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট শূন্যপদের ৭০ শতাংশই সংরক্ষণের আওতায়! রাহুল গান্ধীর প্রস্তাবিত জাতিগত সমীক্ষার ভিত্তিতে সংরক্ষণ কার্যকর করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমাও টপকে গেল কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানা। মঙ্গলবার নতুন করে অনগ্রসর জাতির জন্য সংরক্ষণ বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেবন্ত রেড্ডির সরকার।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দীর্ঘদিন ধরে দেশজুড়ে জাতিগত জনগণনার দাবি জানিয়ে আসছেন। রাহুল সরব হওয়ার আগেই অবশ্য বিহারে জাতিগত জনগণনা করান নীতীশ কুমার। পরে কর্নাটকেও জাত সমীক্ষা করানো হয়। দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসাবে জাতিগত জনগণনা করিয়েছিল তেলেঙ্গানা। তবে বিহার বা কর্নাটক ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে সংরক্ষণ বাড়াতে পারেনি। কিন্তু তেলেঙ্গানার রেবন্ত রেড্ডির সরকার দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে জাতিগত জনগণনার রিপোর্টের ভিত্তিতে সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু করল।
মঙ্গলবার তেলেঙ্গানা সরকার বিধানসভায় যে বিল পাশ করিয়েছে, সেই বিল অনুযায়ী অনগ্রসর জাতির সংরক্ষণ বেড়ে হল ৪২ শতাংশ। যা আগে ছিল ২৯ শতাংশ। তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষণ ১৫ থেকে বাড়ি ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। তফসিলি উপজাতির সংরক্ষণের পরিমাণ ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। সব মিলিয়ে এই বিল কার্যকর হলে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭০ শতাংশ হয়ে যাবে। অর্থাৎ অসংরক্ষিত চাকরির পরিমাণ দাঁড়াবে মাত্র ৩০ শতাংশ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও রাজ্যেই সংরক্ষণের পরিমাণ ৫০ শতাংশের বেশি হতে পারে না। তেলেঙ্গানার এই আইন কার্যকর করতে হলে সেই নিয়ম ভাঙতে হবে। যদিও বিল পাশ হলেই সেটা আইনে কার্যকর হবে না। এই আইন কার্যকর করতে হলে কেন্দ্রের অনুমতি লাগবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.