সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঔরঙ্গজেবের কায়দায় উপত্যকায় অপহৃত আরও এক পুলিশ আধিকারিক৷ অপহৃত পুলিশ আধিকারিক মুদাসির আহমেদ লোন৷ শুক্রবার রাতে চিনাত্তার গ্রামে নিজের বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয় ওই পুলিশ আধিকারিককে৷ অবন্দিপুরা পুলিশ লাইনে স্পেশ্যাল অফিসার হিসাবে কর্তব্যরত ছিলেন তিনি৷
এর আগেও জম্মু-কাশ্মীরের একাধিকবার পুলিশ আধিকারিকদের টার্গেট করেছে জঙ্গিরা৷ ঘটনার সূত্রপাত গত ১৪ জুন৷ ইদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরছিলেন রাইফেলম্যান ঔরঙ্গজেব৷ পুলওয়ামায় ৪৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসে কর্মরত ছিলেন তিনি৷ গাড়ি করে ফেরার পথে বেশ কয়েকজন তার পথ আটকায়৷ কালামপোরার কাছ থেকে অপহরণ করা হয় ঔরঙ্গজেবকে৷ বেশ কয়েকঘণ্টা পর গুসো গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় বছর চব্বিশের ওই রাইফেলম্যানের দেহ৷ তাঁর দেহের একাধিক অংশে মেলে গুলির চিহ্ন৷ তার ঠিক পরেরদিনই ১ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করে জঙ্গিরা৷
তারপর কয়েকদিন কাটতে না কাটতেই পুলিশ কনস্টেবল জাভেদ আহমেদ দারকে টার্গেট করে জঙ্গি৷ ওই পুলিশ কনস্টেবলকে দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম থেকে গাড়ি করে আসা জঙ্গিরা অপহরণ করে তাঁকে৷ পরেরদিনই ভেহিলে তাঁর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে দারের দেহ উদ্ধার করা হয়৷ ঔরঙ্গজেবের মতো দারের দেহেও মিলেছিল একাধিক গুলির চিহ্ন৷ গুলি করার আগে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছিল বলে সেনা সূত্রে খবর৷
এর ঠিক পরের অপহরণের ঘটনাটি ঘটে ২০ জুলাই৷ ছুটি কাটাতে এসে কুলগামের মাতালহামা গ্রামে বাড়ি থেকেই অপহৃত হন কনস্টেবল মহম্মদ সেলিম শাহ৷ ঘটনার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ওদিপোরা কাহাম গ্রাম থেকে সেলিমের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়৷
এবার অপহৃত মুদাসির আহমেদ লোন৷ গত দু’মাসে এই নিয়ে চতুর্থবার পুলিশ আধিকারিককে অপহরণ করা হল৷ নিরাপত্তারক্ষীরা অপহৃত ওই পুলিশ আধিকারিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে৷ কে বা কারা এই অপহরণের সঙ্গে জড়িত, তার এখনও খোঁজ মেলেনি৷ কোনও জঙ্গি সংগঠন এখনও পুলিশ আধিকারিককে অপহরণের দায় স্বীকার করেনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.