সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০০৪-এ কেন তাঁর বদলে মনমোহন সিংকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়েছিল, তা আরও একবার খোলসা করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। ‘ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ’-এ যোগ দিতে এসে সোনিয়া জানান, তিনি জনসভায় ভাষণ দিতে পারেন না ভাল। তিনি ভাল শ্রোতা, কিন্তু বক্তা নন। আর তাই তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চাননি।
[কে আগে বাড়ি যাবে? দুই শিক্ষকের মারামারিতে হতবাক পড়ুয়ারা]
সোনিয়া বলেন, ‘আমি জানতাম মনমোহনজি আমার চেয়ে ঢের যোগ্য ব্যক্তি। আমি আমার সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমি প্রকাশ্য জনসভায় ভাষণ দিতে পারি না ভাল। বলতে পারেন, আমি একজন ভাল শ্রোতা বা পাঠক। কিন্তু বক্তা নই।’ ৭১ বছরের সোনিয়া এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে একাধিক বিষয়ে মুখ খুলেছেন। একটানা ১৯ বছর কংগ্রেস সভানেত্রী পদে থাকার পর সদ্য দলের ব্যাটন তুলে দিয়েছেন পুত্র রাহুল গান্ধীর হাতে। আর তাঁর হাত ধরেই কংগ্রেস একেবারে বুথ স্তর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন সোনিয়া।
এই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করেন সোনিয়া গান্ধী। বলেন, ‘বিজেপি খুবই চালাকি করে মানুষের মনে একটা বিশ্বাসের জন্ম দিতে পেরেছে- যে কংগ্রেস মুসলিমদের দল। বাস্তবে কিন্তু তা নয়। আমরা সবসময়ই মন্দিরে গিয়েছি। আমি যখনই রাজীবজির সঙ্গে কোথাও ঘুরতে গিয়েছি, কোথাও বড় মন্দির থাকলেই সেখানে গিয়েছি। কিন্তু হ্যাঁ, আমরা সেগুলি নিয়ে কখনও প্রকাশ্যে জাহির করিনি।’ বস্তুত, গুজরাট নির্বাচনের আগে নয়া কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী যখনই কোনও মন্দিরে গিয়েছেন, তখনই তাঁকে তীব্র বাক্যবাণে বিঁধেছে বিজেপি। হিন্দুর ‘ভেক’ ধরতেই সোমনাথ মন্দিরে গিয়েছেন রাহুল, অভিযোগ সরব হয় বিজেপি। কিন্তু আজ প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী স্পষ্ট করে দিলেন, ধর্মকে রাজনীতির আঙিনায় টেনে আনার পক্ষে নয় কংগ্রেস।