সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরুর দেখভাল করে পাপ কমানো উচিত জেলবন্দিদের। তাই হরিয়ানা জেলে খুব শিগগির তৈরি হতে চলেছে গোশালা। রাজস্থান, তিহার জেলে গোশালা দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে হরিয়ানা সরকার।
[বিচিত্র সমীকরণ! তোগাড়িয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তোপ হার্দিকের]
এই প্রসঙ্গে হরিয়ানা গো সেবা আয়োগের চেয়ারম্যান বানীরাম মাংলা জানিয়েছেন, জেলে গোশালা তৈরি হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিরা সেখানে চাষবাসেরও সুযোগ পায়। তাই জমি থেকে উৎপাদিত ফসলের কিছুটা গরুকে দিলে আলাদাভাবে খাবার জোগাড়ের প্রয়োজন পড়ছে না। সেই সঙ্গে গরুর দুধ ও গোবর কাজে লাগনো যাচ্ছে। দুধ বিক্রি করে যা পয়সা হবে বন্দিরাই তা পাবে। একই সঙ্গে দুগ্ধজাতদ্রব্য তৈরি করে নতুন ব্যবসাও শুরু করতে পারে বন্দিরা। গোবর থেকে ঘুটে তৈরি করে জ্বালানি হিসেবে নিজেরা যেমন ব্যবহার করতে পারবে, একইভাবে বাজারে বিক্রিও করতে পারবে। গো-মূত্র থেকে কোনও রকম প্রোডাক্ট তৈরি করা যায় কি না তানিয়েও ভাবনা চিন্তা হচ্ছে। সরকারি তরফেই গোশালার জন্য প্রয়োজনীয় ছাউনি ও গরু দেওয়া হবে। জেলবন্দিরা সেই গোশালা থেকে যা উপার্জন করবে সবটাই তাদের। বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে স,মাজের বিভিন্ন স্তর থেকে জেলে সাজা খাটতে আসে অপরাধীরা। জেল যেহেতু সংশোধনাগার তাই গরু প্রতিপালনের মাধ্যমে নিজেদের মানসিক পরিস্থিতির সংশোধনেরও সুযোগ পাবে তারা। এককথায় গো-মাতার সেবা করে যেমন পুণ্য অর্জনের সুযোগ পাবে বন্দিরা। তেমনই নিজেদের স্বভাবচরিত্রেও লক্ষ্যণীয় পরিবর্তন আসবে।
২০১৫ সালে হরিয়ানা জেলে প্রথম গোশালা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকার তার অনুমতি দেয়নি। এতদিনে গোশালার বাস্তবায়ন হতে চলেছে।