Advertisement
Advertisement

Breaking News

উন্নাও

দাউদাউ করে জ্বলছিল শরীর, উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে ডাইনি ভেবে চম্পট দেয় পথচারীরা

নির্যাতিতার বয়ান গায়ে কাঁটা দেবে।

Torched Unnao rape victim ran for a mile, none help

ছবি: প্রতীকী

Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 6, 2019 12:41 pm
  • Updated:December 6, 2019 12:41 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দাউদাউ করে জ্বলছে সারা শরীর। বাঁচার জন্য সাহায্য চেয়ে উন্নাওয়ের রাস্তা ধরে ছুটছিলেন সেই নির্যাতিতা। সাহায্য তো দূরে থাক, উলটে তাঁকে ডাইনি ভেবেই দূরে সরে যাচ্ছিলেন পথচারীরা। শেষমেশ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে মিলছিল সাহায্য। কিন্তু সেইটুকু পেতেও সাহায্যকারীকে কয়েক মিনিট ধরে বোঝাতে হয়েছিল, তিনি ডাইনি নন। বরং তাঁকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে।

হায়দরাবাদ গণধর্ষণে চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারের খবর শুনে শুক্রবার সকালে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল তামাম দেশবাসী। কিন্তু তারপরেই উন্নাওয়ের নির্যাতিতার এহেন অভিজ্ঞতার কথা শুনে আরও একবার শিউরে উঠছেন তাঁরা। লখনউয়ের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে-লড়তে উন্নাওয়ের সেই বছর তেইশের যুবতী পুলিশকে তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন : হায়দরাবাদ কাণ্ডের জের! প্রতিটি থানায় মহিলা হেল্প ডেস্ক খোলার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের]

বৃহস্পতিবার ভোর রাতে গণধর্ষণ মামলার শুনানির জন্য উন্নাও থেকে রায়বরেলি যাচ্ছিলেন ওই যুবতী। কাকভোরে বাইশওয়াড়া বিহার স্টেশনের দিকে রওনা হতেই হরিশংকর ত্রিবেদী, শুভম, কিশোর, শিবম ও উমেশ তাঁর পথ আটকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা প্রথমে ওই যুবতীর মাথায় আঘাত করে, পরে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপও মারে। আঘাতের চোটে মাটিতে পড়ে যেতেই তাঁর গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় সাহায্যর জন্য চিৎকার করতে করতে ছুটতে থাকেন। অবশেষে প্রায় এক কিলোমিটার পর তিনি রবীন্দ্রপ্রকাশ সিংয়ের দেখা পান।

Advertisement

[আরও পড়ুন : হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃতদের মৃত্যু ‘ক্ষতে মলম’, মন্তব্য নির্ভয়ার মায়ের]

রবীন্দ্রপ্রকাশের কথায়, “ভোরবেলা আমি গরুর খাবার তৈরি করছিলাম। হঠাৎ এক মহিলার আর্ত চিৎকার শুনতে পাই। রাস্তার দিকে তাকাতেই চক্ষু চড়কগাছ। দেখি এক মহিলা আমার দিকে ছুটে আসছেন, তার সারা গায়ে আগুন জ্বলছে। প্রথমে ভেবেছিলা কোনও অশরীরী বোধহয়! ভয়ে ঘরে ঢুকে যাচ্ছিলাম। কিন্তু মেয়েটি আমাকে সবকথা বলে। সঙ্গে সঙ্গে আমি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি।” মহিলা কণ্ঠের চিৎকার শুনে রবীন্দ্রপ্রকাশের স্ত্রীও বাইরে বেরিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেন, “মেয়েটির অবস্থা দেখে আমার কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শুধু পুড়ে যাওয়া শরীর থেকে সাহায্যের জন্য অবিরাম চিৎকার শুনতে পাচ্ছিলাম।”

[আরও পড়ুন : ‘মেয়ের আত্মা শান্তি পেল’, হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃতদের মৃত্যুতে খুশি নির্যাতিতার পরিবার]

প্রসঙ্গত, মাস তিনেক আগে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের গ্রামে গণধর্ষণ করা হয় বছর তেইশের ওই যুবতীকে। সেই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পরে স্থানীয় আদালতের নির্দেশে গ্রামেরই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও সে কিছুদিনের মধ্যেই জামিনও পেয়ে যায়। আদালতে যাওয়ার পথে তাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে সেই অভিযুক্তরাই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ