সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারিবারিক নির্যাতনের আওতায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনলেন যুবক। হেনস্তার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আদালতে মামলাও করেছেন তিনি। মামলাটি গ্রহণ করেছেন বিচারক। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ঘটনাটি অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়ার।
[ট্রেন লাইনে আত্মহত্যার মহড়া যুবকের, ভিডিও ভাইরাল]
নির্যাতিত যুবকের নাম গোগুরাম কুমার (২৪)। ২০১৭-র আগস্টে সাঁই চৈতন্যের (২৮) সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। কুমারের অভিযোগ, আগের বিয়ের কথা গোপন করেই তাঁর সঙ্গে বিয়ে পিঁড়িতে বসে ছিল চৈতন্য। একটি ১২ বছরের মেয়েও রয়েছে। বিয়ের পরেপরেই এই খবর জানতে পারেন কুমার। তারপরেই সমঝোতার মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় এই দম্পতির। এখানেই সম্পর্কের বোঝা থেকে নিষ্কৃতি পেতে পারতেন কুমার। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। বিচ্ছেদের কিছুদিনের মধ্যেই দুষ্টুবুদ্ধি গজায় চৈতন্যের মাথায়। পণের দাবি তুলে হেনস্তা করেছে কুমার। পুলিশে এমনই অভিযোগ দায়ের করে চৈতন্য। এমনিতেই বিবাহ বিচ্ছেদের কারণে মনমরা থাকতেন গোগুরাম। তার উপরে পণ চাওয়ার মিথ্যে অভিযোগে পুরোপুরি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। উপায়ান্তর না দেখে আইনজীবীর দ্বারস্থ হন গোগুরাম। তারপর আইনজীবীর পরামর্শ মেনে চৈতন্যের বিরুদ্ধে মানসিক হেনস্তার অভিযোগ আনেন। আদালতে অভিযোগের স্বপক্ষে চৈতন্যের হুমকি টেপও জমা দেওয়া হয়। যেখানে গোগুরামের পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দিয়েছে চৈতন্য।
এই প্রসঙ্গে গোগুরামের আইনজীবী বলেন, চৈতন্যকে প্রতিমাসে ৮ হাজার টাকা করে খোরপোশ দেন আমার মক্কেল। তাঁর মাসিক বেতন ১০ হাজার টাকা। মক্কেলের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার কথা জেনেও চৈতন্য আরও বেশি টাকা দাবি করেছিল। এসব দেখেই আদালতে যাওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের ১২ ধারার আওতায় মামলা করা হয়েছে মানসিক হেনস্তার জন্য আর্থিক ক্ষতিপূরণেরও দাবি জানানো হয়েছে। পাশপাশি বিয়ে ও আনুষঙ্গিক কারণে যে আড়াই লক্ষ টাকা গোগুরাম ব্যয় করেছিলেন তাও ফেরত চাওয়া হয়েছে।