‘বীরাঙ্গনা’ মেয়েদের দাপটে পিছু হটল সশস্ত্র ডাকাত, প্রাণে বাঁচলেন বাবা

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরুষ ও নারী কি সমান সমান? এ প্রশ্ন বহুবার উঠছে৷ বহু তর্কের জল গড়িয়ে গিয়েছে৷ তবে সব বিতর্কের অবসানে পড়ে থাকে কাজ৷ হাতেকলমে কাজই প্রমাণ করে দেয়, কোনটা ঠিক আর কোনটা আর কোনটা ঠিক নয়৷ সম্প্রতি সে কাজেরই নমুনা রাখলেন বেঙ্গালুরুর দুই কন্যা৷ তাঁদের দাপটে পিছু হটল সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা৷ প্রাণে বাঁচলেন তাঁদের বাবা৷

[  নাচেই মন কাড়লেন, পুরসভার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ‘ডান্সিং আঙ্কল’ ]

বেঙ্গালুরুর জয়নগরে শ্রী চামু্ণ্ডেশ্বরী জুয়েলার্স৷ মালিক সিভি রঘু৷ ঘটনার দিন তিনি ও তাঁর বড় মেয়ে দোকানে ছিলেন৷ আচমকাই এক ব্যক্তি দোকানের মধ্যে ঢুকে পড়েন৷ পায়ে জুতো, মাথায় হেলমেট৷ তখন ঘড়িতে রাত আটটা পেরিয়েছে৷ এরকম ক্রেতা দেখে অবাক হন রঘু৷ সঙ্গে সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে বাইরে জুতো খুলে আসতে বলেন৷ কথামতো ব্যক্তিটি বাইরে বেরিয়ে যায়৷ মিনিট দুয়েক পর ফিরে আসে আরও জনা কয়েক লোক নিয়ে৷ ব্যাপার বুঝতে আর বাকি থাকে না মালিকের৷ দোকানে ডাকাত পড়েছে বুঝতে পেরেই প্রতিরোধ করেন তিনি৷ বড় মেয়েও হাত লাগান৷ তবে জনা ছয়ের সঙ্গে এঁটে ওঠা সহজ নয়৷ তার উপর ডাকাতরা সশন্ত্র৷ তাদের ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন রঘু নিজেই৷ ঠিক সেই সময় রঘুর ছোট মেয়েও চলে আসেন৷ এরপর লড়াই শুরু করেন দুই বোন৷ তাঁদের দাপটে শেষমেশ হার মানতে হয় ডাকাতদের৷ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে৷ দুই মহিলা শেষ পর্যন্ত ডাকাতদের বাইরে বের করে দিতে সমর্থ হয়েছেন৷

[  মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা, বিতর্কিত মন্তব্য কৃষিমন্ত্রীর ]

রঘুর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ তাঁদের অনুমান পরিকল্পনা করেই এই কাজ করা হয়েছে৷ প্রথমে একজন ঢুকে জল মেপে নিতে চেয়েছিল৷ বাবা ও মেয়েকে দেখে সহজ প্রতিপক্ষ ভেবে বাকিদের ডেকে আনে৷ কিন্তু দুই বোনের দাপটের সামনে যে তাদের পিছু হটতে হবে তা বোধহয় ডাকাতরাও কল্পনা করেনি৷

বীরাঙ্গনা বোনেদের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁদের কুর্নিশ জানাচ্ছেন নেটিজেনরা৷ পুরুষদের তুলনায় মহিলারা যে কোনও অংশে কম যান না, এঁরা আবার যেন তা চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন৷