সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু বছর ধরে বেঙ্গালুরুর বানেরঘাট্টা জাতীয় উদ্যানে চাকরি করছিলেন অঞ্জনেয়া ওরফে আঞ্জি। এক সপ্তাহ আগে জাতীয় উদ্যানের সাফারি এলাকাটি দেখভাল করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক পলকের অসাবধানতায় ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। দুটি সাদা বাঘের হানায় প্রাণ গেল বছর বছর বিয়াল্লিশের আঞ্জির।
[নোবেল পেতে পারেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন]
শনিবার বিকেলে ঘটনা। রোজকার মতোই খাওয়ানোর পর, দুটি সাদা বাঘের শাবককে খাঁচায় ফিরিয়ে আনছিলেন আঞ্জি। কিন্তু, খাঁচার বাঁ দিকটা যে খোলা সেটা খেয়াল করেননি তিনি। সেই খোলা জায়গা দিয়ে আঞ্জির দিকে তেড়ে আসে বাঘের শাবক দুটি। পালানোর চেষ্টা করেছিলেন আঞ্জি। কিন্তু, শেযরক্ষা হয়নি। বানেরঘাট্টা জাতীয় উদ্যানের ওই কর্মীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সাদা বাঘের শাবক দুটি। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক বাদে ঘটনাটি যখন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে, ততক্ষণে আঞ্জির মৃত্যু হয়েছে। বাঘেদের কবল থেকে ওই কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করতে বেগ পেতে হয় বানেরঘাট্টা জাতীয় উদ্যানের অন্য কর্মীদের। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাঘের শাবকগুলিকে সদ্যই খাওয়ানো হয়েছিল। তাই আঞ্জির শরীর থেকে মাংস খুবলে খায়নি তারা। কিন্তু, প্রথমে ওই কর্মীকে দুটি বাঘের শাবক আক্রমণ করেছিল। কিন্তু, পরে আরও কয়েকটি বাঘের শাবক তাতে যোগ দেয়। এতগুলি বাঘ একসঙ্গে আক্রমণ করায় আঞ্জিকে আর বাঁচানো যায়নি। কিন্তু, কেন বাঘের হামলার মুখে পড়তে হল বানেরঘাট্টা জাতীয় উদ্যানের ওই কর্মীকে? সাফারি পার্ক দেখভালের কাজে আঞ্জির অনভিজ্ঞতার জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বানেরঘাট্টা জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ।
[এই রাজ্যে বিধবা বিবাহ করলেই মিলছে নগদ ২ লক্ষ টাকা]
তবে বেঙ্গালুরু বানেরঘাট্টা জাতীয় উদ্যানে কর্মীদের উপর জন্তুদের হামলার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। কয়েক মাসে আগেই কৃষ্ণা নামে এক কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছিল দুটি সিংহ। ঘটনাচক্রে, সেইসময়ও খাঁচার বাঁদিকটা খোলা ছিল। ঘটনায় মেরুদণ্ড ও শরীরের উপরিভাগে গুরুতর আঘাত পান ওই কর্মী। এমনকী, কয়েক দিন আগে দুটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের আক্রমণে দুটি সাদা বাঘের মৃত্যু হয়েছিল।
[তৈরি ৩০০ প্রশ্ন, অজানা জায়গায় নিয়ে গিয়ে জেরা হানিপ্রীতকে]