Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্ত্রীকে জ্যান্ত কবর

দীর্ঘদিন ধরে শয্যাশায়ী স্ত্রী, নিষ্কৃতি পেতে জ্যান্ত কবর দিল স্বামী!

চিকিৎসার খরচ জোগাড় না করতে পেরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, দাবি অভিযুক্তের।

Unable to bear medical expenses man buries ailing wife alive, held

ঘটনাস্থলের ছবি

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 6, 2019 4:19 pm
  • Updated:December 6, 2019 4:19 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: কথায় আছে, ‘কাজের বেলায় কাজী আর কাজ ফুরোলেই পাজি’। জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রবাদের সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়। এবার এই প্রাচীন প্রবাদটিই সত্যি হল গোয়ার এক মহিলার জীবনে। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ থাকায় তাঁকে জ্যান্ত খবর দিল স্বামী। পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গোয়ার নারভেম এলাকায়। অভিযুক্ত তুকারাম শেটগাঁওকরকে গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ‘জয় তেলেঙ্গানা পুলিশ’, হায়দরাবাদ এনকাউন্টারের খবরে উচ্ছ্বাস উমা ভারতীর]

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকবছর আগে তুকারাম শেটগাঁওকর(৪৬)-এর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তনভী(৪৪) নামে এক মহিলার। প্রথম সব ঠিকঠাক থাকলেও পরে শারীরিক অসুস্থতার জন্য বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তনভী। দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করেও তাঁকে সুস্থ করতে পারেননি ডাক্তাররা। এদিকে প্রায় সমস্ত টাকাই খরচ হয়ে গিয়েছিল তুকারামের। কোনও উপায় না দেখে গত বুধবার বাইকুলিম তালুকার নারভেম গ্রামের নির্মীয়মাণ তিল্লারি সেচ প্রকল্পের মাটিতে তাঁকে পুঁতে দেন।

Advertisement

নারভেম পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকালে তিল্লারি সেচ প্রকল্পের জন্য খোঁড়া ক্যানালে মাটি সমান করছিলেন কিছু শ্রমিক। আচমকা সেখানে হাজির হয়ে কাজ বন্ধ করার কথা বলে তুকারাম। কিন্তু, তার কথায় পাত্তা না দিয়ে মেশিনের সাহায্যে মাটি তুলেছিলেন ওই শ্রমিকরা। কিছুটা মাটি তোলার পরেই এক মহিলার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। ওই ঘটনা দেখে এলাকা ছেড়ে পালায় তুকারাম। সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকরা গিয়ে পুলিশকে সব কথা খুলে বলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞার জের, কাশ্মীরে বন্ধ হল হোয়াটসঅ্যাপ]

পাশাপাশি তুকারামকেও থানায় ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে আসার পর পুলিশের জেরা ভেঙে পড়ে সে। নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে জানায়, স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। ডাক্তার দেখাতে গিয়ে সব টাকাও খরচ হয়ে গিয়েছিল। এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে টাকার জন্য পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তাদের কিশোর ছেলের। এরপরই শেষ জ্যান্ত কবর দেওয়ার পরিকল্পনা করে সে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ