Advertisement
Advertisement
Ravneet Bittu

জঙ্গি নন, রাষ্ট্রের রত্ন! স্বর্ণমন্দিরে বাদলের হামলাকারীকে সম্মানিত করার দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

হামলাকারীর ছবি অকাল তখ্‌ত সাহিব মিউজিয়ামে রাখার দাবি মন্ত্রীর।

Union Minister Ravneet Bittu defends Sukhbir Badal's attacker
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:December 7, 2024 8:13 pm
  • Updated:December 7, 2024 8:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বর্ণমন্দিরে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত খলিস্তানি জঙ্গির পাশে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! অভিযুক্ত নারায়ণ সিং চৌরাকে সম্মান জানানো উচিত বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টুর। এমনকি অভিযুক্তকে ‘রাষ্ট্রের রত্ন’ বলে অভিহিত করেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এহেন মন্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে।

গত বুধবার সকালে অমৃতসরের পবিত্র স্বর্ণমন্দিরে শিরোমণি অকালি দলের নেতা ও পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিং বাদলের উপরে গুলি চালান এক বৃদ্ধ। ৬৮ বছরের ওই বৃদ্ধকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যায়, অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রাক্তন খলিস্তানি জঙ্গি। এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হতেই আততায়ীর পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “এই হামলার ঘটনা নিন্দনীয় ঠিকই, তবে সম্প্রতি শিখদের প্রবিত্র ধর্মগ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবকে অপমান করেছেন সুখবীর। এবং নিজ মুখে তিনি তা স্বীকারও করেছেন। এই ঘটনার জেরেই ঝোঁকের বসে এই হামলা চালিয়েছেন নারায়ণ। যে গুলি সুখবীরের গায়ে না লেগে দেওয়ালে লেগেছে। উনি জঙ্গি নন।”

Advertisement

এর পরই নারায়ণ সিংকে সম্মান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “উনি রাষ্ট্রের রত্ন, ওনার ছবি অকাল তখ্‌ত সাহিব মিউজিয়ামে রাখা উচিত। যেভাবে বেওন্ত সিংয়ের হত্যাকারীকে বিক্রম সিং মাজিঠিয়া আলিঙ্গন করেছিলেন সেভাবে নারায়ণ সিংকেও সম্মান করা উচিত।” এর পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে যাতে কোনও মামলা রুজু না হয় তার জন্য আবেদনও জানান রবনীত। বলেন, ”নিজের ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসার জায়গা থেকে গুলি চালিয়েছে নারায়ণ। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কোনও মামলা দায়ের করা ঠিক নয়। এই ঘটনায় সন্ত্রাসবাদের কোনও যোগ নেই।”

এদিকে সুখবীর সিং বাদলের উপর হামলা চালানো নারায়ণ সিং চৌরার পরিচয় প্রকাশ্যে এসেছে। জানা যাচ্ছে, অমৃতসর থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরের গুরুদাসপুর জেলার বাসিন্দা তিনি। নারায়ণ একজন প্রাক্তন খলিস্তানি জঙ্গি। তাঁর বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি মামলা রয়েছে। ৬৮ বছর বয়সি নারায়ণের অপরাধ জগতে হাতেখড়ি যুবক বয়সে। ১৯৮৪ সালে পাকিস্তানে যান তিনি। সেখান থেকে পাঞ্জাবে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচারের কাজ শুরু করেন। তখন থেকেই পাঞ্জাব পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় চৌরা। গত শতাব্দীর নয়ের দশকে দেশে ফিরে পঞ্জাবের অমৃতসর, তরন তারন এবং রোপার জেলায় বহু অপারধমূলক কাজে যুক্ত হন। ২০০৪ সালে চাঞ্চল্যকর বুড়াইল জেল ভাঙার ঘটনায় ‘মূল ষড়যন্ত্রকারী’ও এই ব্যক্তি। ৯৪ ফুট সুড়ঙ্গ খুঁড়ে জেল ভেঙে পালায় বাব্বর খালসা-র আন্তর্জাতিক জঙ্গি জগতার সিং হাওয়ারা, পরমজিৎ সিং ভেওরা এবং তাঁদের দুই সহযোগী জগতার সিং তারা ও দেবী সিং। নারায়ণের ষড়যন্ত্রেই যা সফল হয়েছিল। এহেন ব্যক্তির অভিযুক্তের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement