সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক কিশোরীর গণধর্ষণের মুহূর্ত ভিডিও করে রাখার অভিযোগ উঠল তিন যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তাকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তবে ঘটনার পর থেকে বাকি দু’জন পলাতক। নিন্দনীয় এই ঘটনার সাক্ষী উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি জেলা।
নির্যাতিতা ওই কিশোরীর দাবি, ব্যক্তিগত কাজে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে যাচ্ছিল সে। খেতের মধ্যে তিন যুবক তার উপর পিছনদিক থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে। খেতের এককোণে টানতে টানতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এরপর একে একে তিনজন তাকে ধর্ষণ করে বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনা অভিযুক্তরা মোবাইলের ক্যামেরায় ভিডিও করে বলে দাবি নির্যাতিতার। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয় ওই তিন অভিযুক্ত। চিৎকার করতে থাকে ওই কিশোরী। তার চিৎকার শুনতে পান গ্রামবাসীরা। খেতের দিকে দৌড়ে এসে আপত্তিজনক পরিস্থিতির সাক্ষী হন তাঁরা। স্থানীয়রা অভিযুক্তদের দিকে বাঁশ, লাঠি নিয়ে ধেয়ে যায়। সুযোগ বুঝে মহম্মদ ছোটকা এবং বড়কা নামে দুই ভাই পালিয়ে যায়। মহম্মদ নাজিম নামে বছর কুড়ির যুবককে পাকড়াও করেন গ্রামবাসীরা। তাকে বেধড়ক মারধর করে গ্রামবাসীরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গণপিটুনিতে জখম ওই যুবককে উদ্ধার করা হয়। তবে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, কিশোরীর কথা শুনে ধর্ষণের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। নির্যাতিতার সঙ্গে পুলিশকর্মীরা দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ। যদিও পুলিশের তরফে নির্যাতিতার অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। পালটা পুলিশ আধিকারিক সুজিত পাণ্ডের সাফাই, “গণধর্ষণের ঘটনায় বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষারও বন্দোবস্ত করা হয়েছে কিশোরীর। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি অভিযুক্ত ধরা পড়বে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.