অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি-সহ আরও অনেকে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়া মাইলফলক ছুঁল ভারত-আমেরিকা বন্ধুত্ব। শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে খুলল মার্কিন দূতাবাস। দীর্ঘদিন ধরে যার দ্বারোদ্ঘাটনের অপেক্ষা ছিল। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও ভারতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি-সহ আরও অনেকে। ভারতের এই পঞ্চম মার্কিন দূতাবাস যে আগামী দিনে দুদেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে সেনিয়ে সহমত পোষণ করেন তাঁরা। আর মাত্র দুদিন পরেই আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকবেন জয়শংকর। তার আগে এই দূতাবাস খুলে যাওয়া খুশি দুদেশই।
এর আগে চেন্নাই, হায়দরাবাদ, কলকাতা ও মুম্বই, ভারতেরই চার শহরেই মার্কিন দূতাবাস ছিল। বেঙ্গালুরুতে আর একটি খোলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলচিল দুদেশের মধ্যে। অবশেষে অপেক্ষার অবসান ঘটল শুক্রবার। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমারও। সকলে মিলে ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন দূতাবাসটির। তবে আপাতত এখান থেকে মার্কিন ভিসা দেওয়া চালু হচ্ছে না। তবে এনিয়ে আশার আলো দেখিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। তিনি বলেন, “এই দূতাবাস ভারত-আমেরিকা বন্ধুত্বের অন্যতম মাইলফলক। আমি আরপিও (আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস)-এর পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে জানতে পেরেছি, গত এক বছরে বেঙ্গালুরু থেকে ৮ লক্ষ ৮৩ হাজার পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছে। যাঁদের মধ্যে অনেকেই আমেরিকা যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। ফলে আপনারা বুঝতেই পারছেন ভ্রমণের ক্ষেত্রে সকলের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তা নিশ্চিত করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি আমেরিকা সফরে গিয়ে এনিয়ে কথা বলব। যাতে দ্রুত এখান থেকে ভিসা দেওয়া শুরু হয়।”
অন্যদিকে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটিও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক নতুন নয়। ১৭৭৬ সালে নতুন আমেরিকার স্বাধীনতার পর ফ্রান্সের লিয়নে প্রথম দূতাবাস খোলা হয়। দ্বিতীয় দূতাবাসটি চালু করা হয় কলকাতায়। এটাই প্রমাণ আমেরিকার জন্য ভারত কতটা গুরুত্বপূর্ণ।” এই কনস্যুলেটের জন্য কেন্দ্রকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ডি কে শিবকুমারও। আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফের একবার হোয়াইট হাউসের গদিতে বসবেন ট্রাম্প। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আমেরিকা যাবেন জয়শংকর।
উল্লেখ্য, ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধুত্বের কথা সর্বজনবিদিত। মার্কিন নির্বাচনে জয়লাভ করার পরই ‘প্রিয় বন্ধু’কে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন নমো। শুভেচ্ছাবার্তায় লিখেছিলেন, ‘ঐতিহাসিক জয়ের জন্য প্রিয় বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনেক শুভেচ্ছা। আমি আগামিদিনে তাঁর সাফল্য কামনা করি। আমি খুবই আগ্রহী আমাদের সম্পর্কে পুনর্জীবিত করার জন্য। এই বন্ধন কৌশলগত দিক দিয়ে ভারত-আমেরিকাকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করবে। বিশ্ব শান্তি, স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি ও মানবকল্যাণে আমরা একযোগে কাজ করব।’ ফলে মোদি-ট্রাম্পের বন্ধুত্বে আরও মজবুত হবে দিল্লি-ওয়াশিংটন সম্পর্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.