Advertisement
Advertisement

Breaking News

১০ মাসেই চা-স্ন্যাক্সের বিল ছাড়াল ৬৮ লক্ষ, প্রশ্নের মুখে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

মন্ত্রীর এহেন অতিথি পরায়ণতায় অস্বস্তিতে বিজেপি।

Uttarakhand Govt’s 68 lakhs ‘Samosa Bill’ sparks corruption allegations
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 6, 2018 4:52 pm
  • Updated:February 6, 2018 4:52 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন সবে ১০ মাস হয়েছে। এরমধ্যেই  চা ও স্ন্যাক্সের জন্য ৬৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৬৫ টাকা খরচ করে ফেলেছেন ত্রীবেন্দ্র সিং রাওয়াত। বিজেপি শাসিত উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকেই সরবরাহ হয়েছে সেই টাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মূল লক্ষ্যই ছিল, ‘না খাউঙ্গা না খানে দুঙ্গা।’ কিন্তু বছর ঘোরার আগেই তাঁরই দলের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন খরচের বহর নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

গত ১০ মাসে চা ও স্ন্যাক্সের জন্য ঠিক কত টাকা খরচ করেছেন রাওয়াত? এটাই জানতে চেয়েছিলেন নৈনিতালের সমাজকর্মী হেমেন্দ্র সিং। সেইমতো গত ২২ জানুয়ারি তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় তিনি তাঁর প্রশ্নও করেন। হেমেন্দ্র সিংয়ের প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সরকারি আধিকারিক জানান, অতিথিদের আপ্যায়নের জন্য সরকারি কোষাগার থেকে ৬৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৬৫ টাকা খরচ করেছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর।

Advertisement

[পাকড়াও করে বিয়ে, রীতির গেরোয় বিহারে অপহৃত ৩০০০ পাত্র]

নিন্দুকদের মতে, উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ‘অতিথি দেব ভব’ উদ্ধৃতির যথার্থ ব্যবহার করেছেন। অতিথি সৎকারেই খরচ করে ফেলেছেন ৬৮ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮৬৫ টাকা।

Advertisement

তবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি যে একাই অতিথি পরায়ণ,  এমনটা নয়। এই তালিকায় রয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। ১৮ মাসে অতিথি সেবা করে মন্ত্রিসভার ৬ সদস্যের সঙ্গে তিনি খরচ করে ফেলেছেন এক কোটি টাকা। শুধু মাত্র চা-সিঙ্গাড়ার এই বিল হয়েছে। এই এক কোটির মধ্যে কেজরিয়াল একাই খরচ করেছেন ৪৭.২৯ লক্ষ টাকা। বলাবাহুল্য, ক্ষমতায় বসার ১৮ মাসের মধ্যেই এই খরচের বিল হয়। তালিকায় রয়েছে প্রতিবেশী উত্তরপ্রদেশও। ২০১৬ সালে উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতায় ছিল সমাজবাদী পার্টি। অতিথিদের ‘চা ও টা’ খাইয়েই চার বছরে নয় কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছিল তৎকালীন রাজ্য সরকার।

সমাজবাদী পার্টি, আপ সরকারের পর এবার বিজেপি সরকার সেই তালিকায় জায়গা করে নিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, “সব কা সাথ সব কা বিকাশ” করার জন্য প্রধানমন্ত্রী যখন পকোড়া বিক্রিকে পেশা হিসেবে দেখছেন। তখন এই খরচের বহর কিন্তু অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে বিরোধীদের মধ্যে। দলীয় মন্ত্রীর এহেন অতিথি পরায়ণতায় সবমিলিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে বিজেপি

[প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করে চিঠি রাজ্যপালের, সংসদে সরব তৃণমূল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ