Advertisement
Advertisement

Breaking News

হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ড

‘মেয়ের আত্মা শান্তি পেল’, হায়দরাবাদ গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃতদের মৃত্যুতে খুশি নির্যাতিতার পরিবার

পুলিশের ভূমিকায় খুশি নির্যাতিতার বোনও।

Vet doctor's father says, My daughter's soul must be at peace now.
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 6, 2019 9:28 am
  • Updated:December 6, 2019 9:33 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণধর্ষণের শিকার হয়ে ঘণ্টাখানেকের নৃশংস অত্যাচারে চলে গিয়েছে মেয়ে। আর কোনওভাবেই ফিরে আসবেন না তিনি। কঠিন হলেও বাস্তবকে মানতে হবে তা জানেন হায়দরাবাদের তরুণী পশু চিকিৎসকের মা, বাবা, বোন। এনকাউন্টারে চার অভিযুক্তের খতম হওয়ার ঘটনা যেন সেই ক্ষতেরই প্রলেপ। বিচার পেলেন বলেই দাবি নির্যাতিতার বাবার। পুলিশের ভূমিকায় খুশি নির্যাতিতার বোনও।

গত ২৭ নভেম্বর রাতে চিকিৎসক দিদির সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল বোনের। ফোনে শুনেছিলেন দিদির খুব ভয় লাগছে। মনের ভিতর তখনই খারাপ কিছু হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তাই ঘনঘন দিদিকে ফোন করতে থাকেন তিনি। কিন্তু লাভ কিছুই হয়নি। পরিবর্তে বারবার শুনেছেন সুইচড অফ। তাতে দুশ্চিন্তার পারদ আরও চড়ে। দিদির কিছু হল না তো, এই প্রশ্নই মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে তাঁর। তাই বাবাকে সঙ্গে নিয়ে দিদির খোঁজে রাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন চিকিৎসকের বোন। পুলিশকে জানিয়েছিলেন গোটা ঘটনা। কিন্তু কোন এলাকা আদৌ কোন থানার অন্তর্ভুক্ত, সেই ভাবনাচিন্তাতেই কেটে যায় বিস্তর সময়। তাই দিদির খোঁজ পেতে কেটে যায় গোটা রাত। পরেরদিন হায়দরাবাদের অদূরে সামশাবাদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে একটি ব্রিজের নিচ থেকে দিদির অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। দেহের এতই বীভৎস দশা যে গলায় থাকা গণেশের লকেট ছাড়া চেনার কোনও উপায় ছিল না। ওই অবস্থায় দিদিকে দেখে পুলিশের উপর থেকে আস্থাই হারিয়ে ফেলেছিলেন তরুণী চিকিৎসকের বোন। কিন্তু পরিজনকে হারানোর এত দুঃখ যন্ত্রণার মাঝেই শুক্রবার সকালে আসল ‘সুখবর’। দিদিকে ধর্ষণ করে যারা আগুনে পুড়িয়ে খুন করেছে তাদের এনকাউন্টারে খতম হওয়ার খবরে বেজায় খুশি চিকিৎসকের বোন। একই সুর তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মায়ের গলাতেও। নির্যাতিতার বাবা বলেন, “১০ দিন আগে আমার মেয়ে মারা গিয়েছে। পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই। এতদিনে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পেল।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ কাণ্ডের ছায়া মালদহে, গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে খুন তরুণীকে]

শুধু নির্যাতিতার পরিজনেরাই নন। ঘটনার দশদিনের মাথায় পুনর্নির্মাণ চলাকালীন আগ্নেয়াস্ত্র ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়ার সময় হায়দরাবাদ পুলিশের এনকাউন্টারে চার অভিযুক্তের খতম হওয়ায় অত্যন্ত খুশি তেলেঙ্গানার ছাত্রীরা। স্কুলবাসের মধ্যে আনন্দে নাচতে শুরু করেন তাঁরা।

ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। গণধর্ষণে অভিযুক্তদের খতম হওয়ার ঘটনায় হায়দরাবাদ পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বেশিরভাগ নেটিজেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ