সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বকেয়া ঋণের কয়েক গুণ তাঁর থেকে উসুল করে নিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। কর্নাটক হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে এমনই দাবি করলেন বিজয় মালিয়া। পিটিশনে দাবি করলেন বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে তাঁকে যেন লেনদেন সংক্রান্ত স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারপতি আর দেবদাস ১০টি ব্যাঙ্ককে এই সংক্রান্ত নোটিস পাঠিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে এসবিআই ও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক।
মালিয়ার আইনজীবী সজন পুভ্যায়া দাবি করেছেন, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের ঋণ ছিল ৬ হাজার ২০০ টাকা। সেখানে তাদের শোধ করতে হয়েছে ১৪ হাজার টাকা। পাশাপাশি তিনি বলেন, ”অর্থমন্ত্রী লোকসভায় এবিষয়ে আমাদের জানিয়েছেন। ঋণ উদ্ধারকারী অফিসার উল্লেখ করেছেন যে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ঋণের অর্থ পুরোপুরি উদ্ধার হওয়া সত্ত্বেও এখনও পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে।” তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, মালিয়া চান, ব্যাঙ্কগুলির ঋণ পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বন্ধ করা হোক।
২০১৬ সালের ২ মার্চ মালিয়ার বিরুদ্ধে কয়েকটি পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক মামলা দায়ের করলে তিনি দেশ থেকে ফেরার হন। ভারত সরকার ইতিমধ্যেই মালিয়াকে দেশে প্রত্যার্পণের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের আইনি মারপ্যাঁচে শেষ পর্যন্ত তাঁকে দেশে ফেরানো সম্ভব হয়নি। এদিকে বিদেশে ছেলের বিয়েতে দিব্যি স্যুট-বুট পরে দেখা দিয়েছেন তিনি। যে ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে নেটিজেনদের দাবি, এ ছবি সিদ্ধার্থের বিয়েতেই তোলা। এরপরও দেশে ফেরানো যায়নি বিজয় মালিয়াকে।
এক সময় মালিয়ার সংগ্রহে ছিল ২৫০টি ক্লাসিক গাড়ি, একটি ব্যক্তিগত বিমান, একটি কাস্টোমাইজ করা বোয়িং ৭২৭ বিমান, ইয়ট এবং ২০০টি ঘোড়া। আইপিএল-এর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি) দল প্রথমে তিনিই কিনেছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি কিংফিশার এয়ারলাইন্স স্থাপন করেন। এর ঠিক ২ বছর পরে মালিয়া কিনে নিয়েছিলেন ভারতের প্রথম কম খরচের বিমান সংস্থা এয়ার ডেকান। তবে ২০১২ সাল নাগাদ মাত্রাতিরিক্ত ঋণের বোঝার কারণে বন্ধ হয়ে যায় কিংফিশার। দিতে পারেননি কর্মীদের মাইনেও। সরকার এবং বিভিন্ন ব্যাঙ্কের থেকে বিজয় মালিয়া আর্থিক সাহায্য নিয়েছিলেন। সেই টাকা শোধ না করেই বিদেশে পালিয়ে যান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.