Advertisement
Advertisement

Breaking News

চালক ছাড়াই ১৩ কিমি পাড়ি রেলের ইঞ্জিনের, ধাওয়া করে থামালেন চালক!

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি।

Without driver, Railway engine moves on, Driver chases 13 km on bike to stop it
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 9, 2017 2:14 pm
  • Updated:September 25, 2019 2:50 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  চালক নেই। কিন্তু, রেললাইন ধরে ছুটে চলেছে ইঞ্জিন! বাইক নিয়ে চলন্ত ইঞ্জিনের পিছু নিলেন আতঙ্কিত চালক। প্রায় ১৩ কিমি ধাওয়া করার পর, কোনওমতে ইঞ্জিনটি থামালেন তিনি। অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এমনই ঘটনা কর্নাটকের ওয়াদি জংশন স্টেশনে।

[ইন্ডিগোকে ব্যঙ্গ করে টুইট এয়ার ইন্ডিয়ার, ভাইরাল জেটের ভুয়ো বিজ্ঞাপনও]

Advertisement

সম্প্রতি একের পর এক রেল দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত রেলযাত্রীরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চালক-সহ রেলকর্মীদের গাফিলতির দিকেই অভিযোগ আঙুল উঠেছে। কিন্তু, ওই ইঞ্জিনটিতে তো চালকই ছিলেন না। তাহলে কীভাবে সেটি চলতে শুরু করল?  তা নিয়ে সন্দিহান রেলকর্মীরাই। ঘটনায় রীতিমতো হতবাক তাঁরা। রেল সূত্রে খবর, কর্নাটকের গুলবর্গা জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জংশন স্টেশন ওয়াদি। বুধবার দুপুরে ওয়াদি স্টেশনে এসে পৌঁছয় মুম্বইগামী মুম্বই মেল। কিন্তু, ওয়াদি থেকে মহারাষ্ট্রে শোলাপুর পর্যন্ত লাইনে বৈদ্যুতিকরণের কাজ এখনও শেষ হয়নি। ওই রুটে সমস্ত ট্রেনই ডিজেল ইঞ্জিনে চলে। তাই ওয়াদি স্টেশনে মুম্বই মেলেরও ইলেকট্রিক ইঞ্জিনটি খুলে ডিজেল ইঞ্জিন লাগানো হয়। এরপর শোলাপুরের দিকে রওনাও হয়ে যায় ট্রেনটি। কিন্তু, এরপরই ঘটে বিপত্তি। মুম্বই মেল চলে যাওয়ার পর, লাইনে দাঁড়িয়েছিল ইলেকট্রিক ইঞ্জিনটি। চালকও নেমে গিয়েছিলেন। কিন্তু, আচমকাই সকলের নজর এড়িয়ে তরতরিয়ে চলতে শুরু করে ইঞ্জিনটি! বিষয়টি নজরে আসতেই প্রথমেই ওয়াদি পরবর্তী বেশ কয়েকটি স্টেশনে লাইন ও সিগন্যাল ফাঁকা রাখার বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু, ইঞ্জিন তো তরতরিয়ে ছুটে চলেছে! সেটি থামাবে কে? ওয়াদি স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার ও ইঞ্জিনের চালক একটি বাইক নিয়ে চলন্ত ইঞ্জিনের পিছনে ধাওয়া করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রায় ১৩ কিমি পথ পাড়ি দেওয়ার পর, আপনা থেকেই ইঞ্জিনের গতি কিছুটা কমে যায়। তথনই কোনওমতে ইঞ্জিন উঠে, সেটি থামান চালক।

Advertisement

[এবার এই পরিষেবা পেতেও বাধ্যতামূলক হচ্ছে আধার]

এই ঘটনায় যাত্রীরা চমকে গেলেও রেলের চালকরা মনে করেন এমন সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ কোনও কারণে ইঞ্জিনে ব্রেক দেওয়া না হলে তা এগোতে পারে। পাশাপাশি ইঞ্জিনের অভিমুখ যদি ঢালু হয় তবে সেটি আপনি আপনি এগোতে পারে। এই পরিস্থিতি আটকাতে ইঞ্জিন বদলের সময় সাধারণত পুরনো ইঞ্জিনের চাকার পাশে কিছু রাখা হয়। যাতে সেটি এগোতে না পারে।  এই ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে এমন কিছু হয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মাস কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৮ কিলোমিটার অন্য রুটে চলে গিয়েছিল একটি এক্সপ্রেস। পরপর এই ঘটনা বুঝিয়ে দিল রেলকর্মীদের একাংশের গাফিলতির জন্য অনভিপ্রেত পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

[কর ফাঁকির অভিযোগে জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের দপ্তরে আয়কর হানা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ