ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ কেমন রুচি! কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের কি এমনটা করা সম্ভব? পুরুষের বেশে দিনের পর দিন এক নাবালিকার উপর যৌন অত্যাচার চালিয়ে গিয়েছে এক মহিলা! সেক্স টয় ব্যবহার করে চলেছে নির্যাতন। স্ত্রীর এমন কুকীর্তিতে লজ্জিত ও স্তম্ভিত হয়েই আত্মহননের পথ বেছে নেন বছর ৪৭-এর ব্যক্তি।
শিউরে ওঠার মতো ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের। ১৭ বছরের নির্যাতিতা প্রকাসম জেলার এসপির অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ জানায়। তার অভিযোগ, কৃষ্ণ কুমার রেড্ডি নামের এক ব্যক্তি তার উপর দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতন চালাচ্ছে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে কৃষ্ণ কুমার আসলে আর কেউ নয়, ৩২ বছরের এক মহিলা। যে জিনস শার্ট গায়ে চাপিয়ে হয়ে উঠত পুরুষ। এরপরই অভিযুক্তর বাড়িতে হানা দেয় তারা। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বড় ব্যাগ। ব্যাগে ভরতি সেক্স টয়। এরপরই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ নিয়ে ওই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। স্ত্রীর কাণ্ডকারখানা শুনে তখনই ছুটে তিনতলার ছাদে চলে যান স্বামী। ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানায়, নিজেকে পুরুষ হিসেবে তুলে ধরতে ছোট করে চুলও কেটেছিল অভিযুক্ত। তবে দু’বার বিয়েও করে ওই মহিলা। ২০১৬ সালে গ্রাম থেকে ওঙ্গোলে চলে আসে সে। সেখানেই ৪৭ বছরের ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। নাবালিকাদের প্রতি তার দূর্বলতা দীর্ঘদিনের। অল্পবয়সি মেয়ে বা কিশোরী দেখলেই তাদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করত অভিযুক্ত মহিলা। তারপরই তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ত। এখানেই শেষ নয়, ১৭ বছরের কিশোরীকে নিজের বাড়িতে রাখার জন্য ২৮ বছরের এক বন্ধুর সঙ্গে নকল বিয়েও দেয় সে। কিন্তু নাবালিকার অভিভাবকরা অভিযোগ জানাতেই গোটা ঘটনা সামনে আসে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই মহিলাকে। তার বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলা রুজু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.