বুধবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় যোগী।
হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: মহাকুম্ভে সঙ্গমের জলে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়া। মঙ্গলবার কেন্দ্রের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেই দাবি উড়িয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পালটা দাবি করলেন, পুণ্যস্নান তো বটেই, এমনকী আচমনের জন্য পানেরও যোগ্য প্রয়াগরাজের নদীর জল। এইসঙ্গে ‘কুম্ভের জলে স্নানে শরীরের ক্ষতি হতে পারে’, বিরোধীরা এমন মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে বুধবার যোগী জানান, এখনও পর্যন্ত ৫৬ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষ ত্রিবেণী সঙ্গমের জলে ডুব দিয়েছেন। বহু সম্মানিত, বিখ্যাত ব্যক্তি মোক্ষপ্রাপ্তির আশায় স্নান করেছেন। যোগী বলেন, “আমরা যখন সনাতন ধর্ম, মা গঙ্গা কিংবা মহাকুম্ভের বিরুদ্ধে কোনও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছি বা ভুয়ো ভিডিও দেখাই, তখন আসলে ৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাসে আঘাত করছি।”
এদিন গঙ্গার জল নিয়ে উত্তরপ্রদেশ দূষণ পর্ষদের রিপোর্ট তুলে ধরেন যোগী। জানান, নদীর জলে বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড (বিওডি) লিটার প্রতি ৩ গ্রাম এবং ডিসল্ভ অক্সিজেন (ডিও) লিটার প্রতি ৫ গ্রাম থেকে ৯ গ্রাম। যা মোটেই বিপজ্জনক নয়। গেরুয়া নেতার বক্তব্য, ১৪৪ বছরের মহাকুম্ভকে বিরোধীরা অপমান করেই চলেছে। আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি।
যোগী বলেন, “সমাজবাদী পার্টি প্রশ্ন তুলছে ‘কেন মহাকুম্ভের পিছনে এত টাকা খরচ হবে।’ ‘সপা’র বন্ধু লালুপ্রসাদ যাদব বলছেন কুম্ভ ‘ফালতু’। সপার আরেক বন্ধু (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বলছেন মহাকুম্ভ নাকি ‘মৃত্যু কুম্ভে’ পরিণত হয়েছে। যদি সনাতন ধর্মকে উদযাপন করা অপরাধ হয়, তবে হ্যাঁ, অপরাধ করেছে আমার সরকার।”
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি মৌনী অমাবস্যার স্নানের সময় মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩০ জন পুণ্যার্থীর। সম্প্রতি নয়া দিল্লি স্টেশনে প্রয়াগরাজগামী ট্রেন ধরতে এসে ভিড়ে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এর পর মঙ্গলবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “মহাকুম্ভ এখন মৃত্যু কুম্ভ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.