অর্ণব আইচ: কলকাতায় এবার নিষিদ্ধ মাদক ম্যাজিক মাশরুমের হদিশ মিলল। এই মাদক পাচারের অভিযোগে ৩ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। ধৃতদের কাছে ২.৪৯ গ্রাম ম্যাজিক মাশরুম উদ্ধার করেছেন এনসিবি আধিকারিকরা। তদন্তকারীদের দাবি, ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে নেদারল্যান্ডস থেকে এই ম্যাজিক মাশরুম এনেছিল ধৃতেরা। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কলেজ পড়ুয়া ও রেভ পার্টিতে ওই মাদক সরবরাহ করা ছক কষেছিল তারা। লেনদেন চলত বিট কয়েনে।
[ভরা বসন্তেও রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা, হতে পারে ঝড়]
শহর জুড়ে কলেজ পড়ুয়ার মধ্যে উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে মাদকাসক্তি। রেভ পার্টিগুলিতেও এখন নিষিদ্ধ মাদকে চাহিদা তুঙ্গে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শহরের বুকে নিষিদ্ধ মাদক সরবরাহের কারবার চালাচ্ছিল আলিপুরের বাসিন্দা বিবেক শর্মা। এনসিবি আধিকারিকদের দাবি, প্রচলিত মাদক নয়, কলেজ পড়ুয়া ও রেভ পার্টিতে ম্যাজিক মাশরুম নামে একটি বিশেষ ধরনের মাদক সরবরাহ করার ছক কষেছিল সে। শনিবার রাতে আলিপুরের একটি আবাসন থেকে বিবেককে গ্রেপ্তার করে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। তাকে জেরা করে আরও ২ জনকে জালে তুলেছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার ২.৪৯ গ্রাম ম্যাজিক মাশরুম।
তদন্তকারীর জানিয়েছেন, এই ম্যাজিক মাশরুম আসলে একটি বিরল প্রজাতির ছত্রাক। মূলত আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই ছত্রাকটি দেখতে পাওয়া যায়। ওই ছত্রাক থেকে এক ধরণের নিষিদ্ধ মাদক তৈরি করা হয়। ইদানিং কলকাতা পার্টি সার্কিটে ও মাদকাসক্তদের মধ্যে ম্যাজিক মাশরুমের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এনসিবি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ডার্ক নেটের মাধ্যমে বিদেশ থেকে এই শহরের ম্যাজিক মাশরুম আমদানি করেছিল বিবেক শর্মা ও তার সহযোগীরা। এই মাদক কলেজ পড়ুয়া ও শহরের বিভিন্ন রেভ পার্টিতে সরবরাহ করার ছক কষেছিল তাঁরা। ধৃতদের হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিট কয়েনের মাধ্যমে এই নিষিদ্ধ মাদকের কেনা-বেচা চলত। প্রসঙ্গত, কলকাতা তো বটেই, পূর্ব ভারতে এই প্রথম ম্যাজিক মাশরুমের মতো নিষিদ্ধ মাদকের সন্ধান মিলল।
[জলে ভেজাল রুখতে পুরসভার সাঁড়াশি অভিযান]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.