গৌতম ব্রহ্ম ও অভিরূপ দাস: যে রাঁধে সে চুলও বাধে। স্টেথো হাতে যিনি করোনা ঠেকাচ্ছেন তিনিও আছেন মহিষাসুর বধে। কেষ্টপুর মাষ্টারদা স্মৃতি সঙ্ঘের থিম সং-এর সাত সুর বাঁধছেন ছয় চিকিৎসক। সকালে সাদা অ্যাপ্রন হাতে ইঞ্জেকশন। বিকেলে তাঁরাই হারমোনিয়ামে গলা সাধছেন।
চিকিৎসকদের বহুমুখী প্রতিভা নতুন কি? আর্নেস্তো চে গুয়েভারা থেকে হলিউডের কেন জেয়ং কিম্বা ব্রিটিশ কৌতুক অভিনেতা গ্রাহাম চাপম্যান। স্টেথো নিয়ে শুরু করেও যাদের গাড়ি ঘুরে গিয়েছে অন্য লক্ষে। তেমনই একজন শহর কলকাতার সিধু। করোনা আবহে একজোট করেছেন কোভিড ওয়ারিয়রদের। “পুজো এবার উপলক্ষ, পাশে থাকাই প্রধান লক্ষ।” এমন থিমেই গান বাঁধা শেষ। পরিশ্রমের বহর? কোভিড আবহে টানা ১৪/১৫ ঘন্টা ডিউটি করেও সময় পেলেই চলছে অনুশীলন। রুবি জেনারেল হাসপাতালের ডা. মনিষী ভট্টাচার্য, ইসলামিয়া মেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটের মেডিক্যাল অফিসার ডা. অয়ন কুমার নাথ, বজবজ জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের ডা. অর্কদীপ পাল, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ডা. অর্নিবাণ দত্ত। টিম “সিধু”-র লাইনআপ এরকমই।
[আরও পড়ুন ; গঙ্গা ভ্রমণের সঙ্গে মহানগরের ইতিহাস জানার সুযোগ, কলকাতায় চালু হচ্ছে ‘ক্রুজ রাইড’]
পুজোর সম্পাদক শিমুল মজুমদার জানিয়েছেন, “করোনা আবহে জীবন বাজি রেখে লড়াই করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরাই এবার আমাদের পুজোয় থিম সং তৈরি করছে। মানুষ তো মনে রাখবেই”। গানের লেখা সুর করার কাজ শেষ। অক্টোবরের শুরুতেই রেকর্ডিং হবে। রবিবার ছিল ওই থিম সং এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। যা সেড়ে আবার ২০০ কিলোমিটার উজিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফিরে গেলেন ডা. অর্নিবান দত্ত। জানিয়েছেন, সিধুদা সেলিব্রিটি গায়ক। ওরকম মাপের একজন কন্ঠের সঙ্গে গলা মেলাতে পেরে আমরা গর্বিত। গানের পুরো কৃতিত্ব সিধুদার। মাতৃরূপেন মহামায়াকে যিনি আরোগ্যরুপেনতে রূপান্তরিত করেছেন, গানে গানে। সিধুর কথায়, “এই শব্দটা মাথায় এল। বেশ ইন্টেরেস্টিং। কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষের মনে একটা কী হবে, কী হবে চিন্তা কাজ করছে। এদিকে বাঙালির সেরা উৎসবও দোরগোড়ায়। গানের মধ্যে একটা সেলিব্রেশন মুডও থাকবে। আবার অন্ধকার কেটে আলোয় ফেরার বার্তাও।”