ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডেঙ্গুতে মৃত খুদের অঙ্গদান করল পরিবারের সদস্যরা। রবিবার গভীর রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় শিশুটির। মৃত্যর পরই শিশুর পরিবার স্থির করে যে, মৃতের অঙ্গদান করা হবে। ইতিমধ্যেই শিশুটির ২ টি কর্ণিয়া দান করা হয়েছে।
পুজোর পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাবা বসাতে শুরু করেছিল ডেঙ্গু। লাফিয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। ডেঙ্গু নিধনে পুরসভার তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও যেন কিছুতেই রোখা যাচ্ছেনা ডেঙ্গুর দাপট। ক্রমাগত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল লেকটাউনের বাসিন্দা বছর তিনেকের অহর্ষি ধর। গত সোমবার তাকে পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেলথে ভরতি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছিল। রবিবার গভীর রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় অহর্ষির।
সূত্রের খবর, অহর্ষির ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ রয়েছে ডেঙ্গুর। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অহর্ষির প্লেটলেট ১৭ হাজারে নেমে গিয়েছিল। চিকিৎসকদের তরফে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ৩ বছরের খুদের মৃত্যু সংবাদ পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। তবে সেই মুহূর্তেই তারা অহর্ষির অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু খুদের সমস্ত অঙ্গদান সম্ভব হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই পরিবার অহর্ষির দুটি কর্ণিয়া দান করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খুদের পরিবারের এই সাহসী পদক্ষেপের প্রশংসা করছেন সকলেই।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয় হাওড়ার রথতলার বাসিন্দা বছর ১০-এর অক্ষিতা দাসের। বেশ কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিল সে। স্থানীয় চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার পরেও কাজ না হওয়ায় নাবালিকাকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তার। পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক হওয়ায় ডায়ালিসিসও করা হয়। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.