অরিজিৎ গুপ্ত: কাকা মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কাকাকে যাঁরা মারধর করেছে তাদের চরম শাস্তি হোক। কিন্তু কাকার জন্য সারা রাজ্যের হাসপাতালগুলি অচল হয়ে রয়েছে এটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। দ্রুত হাসপাতালগুলি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরুক। এমনটাই চাইছেন পরিবহ মুখোপাধ্যায়ের ভাইপো স্থিতধী মুখোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: এনআরএস হামলার নেপথ্যে কারা? ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য]
বৃহস্পতিবার হাওড়ার ডোমজুড়ের ষষ্ঠীতলা গ্রামে বসে এমনটাই জানিয়েছেন পরিবহর ভাইপো। স্থিতধীর কথায় স্পষ্ট, পরিবহর পরিবারের লোকেরা চাইছেন চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত না করেই চিকিৎসকরা আন্দোলন করুন। তাঁরা কোনওভাবেই চাইছেন না তাঁদের বাড়ির ছেলের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাসপাতালে আসা রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যান। স্থিতধীর কথায়, এনআরএস-সহ রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এর ফলে রোগীরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না। বহু দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা সরকারি হাসপাতালে গিয়ে ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। এই অচলাবস্থা দ্রুত কাটুক। স্থিতধীর মতে, অচলাবস্থা কাটাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুক রাজ্য সরকার। শুধু পরিবহর ভাইপো নন, পরিবহর পরিবারের সকলেই চাইছেন রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে অচলাবস্থা কেটে স্বাভাবিক হোক চিকিৎসা পরিষেবা।
অন্যদিকে পরিবহর জ্যাঠা হেমাঙ্কুর মুখোপাধ্যায় তাঁর ভাইপোর এই অবস্থা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। চিকিৎসকদের উপর রোগীর পরিবারের এই আক্রমণের নিন্দা করেছেন তিনি। পাশাপাশি রোগীর পরিবারের এই আচরণের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের আন্দোলনকেও তিনি সমর্থন করেছেন। চিকিৎসকদের এই আন্দোলন প্রসঙ্গে পরিবহর জ্যাঠা জানান, রোগীর পরিবারের লোকেদের এবার বোঝা উচিত ডাক্তাররা তাঁদের বাড়ির লোকেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্যই চিকিৎসা করেন। পরিবহর পরিবারের লোকেরা সকলেই চাইছেন তাঁদের ঘরের ছেলে চিকিৎসক পরিবহ দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে কাটুক সরকারি হাসপাতালগুলির অচলাবস্থা। প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে এনআরএস হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয় এক রোগীর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে আসা কিছু দুষ্কৃতী। তারপরই রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা আন্দোলনে নামেন। আউটডোর বন্ধ হওয়ায় শুরু হয় অচলাবস্থা।
[আরও পড়ুন: অচলাবস্থার দায় নিয়ে পদত্যাগ এনআরএসের সুপার এবং প্রিন্সিপালের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.