অর্ণব আইচ: বেহালা কাণ্ডে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু, বয়সজনিত কারণে শুভব্রত মজুমদারের বাবাকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। সেভাবে জেরাও করা হয়নি। কিন্তু, এবার আর রেহাই পাবেন না গোপাল মজুমদার। ছেলে ও বাবা দু’জনের নামে নিউ আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংকের অভিযোগ, স্ত্রী বীণা মজুমদারের মৃত্যুর বিষয়টি তাদের জানাননি গোপাল মজুমদার। উলটে তাঁর ছেলে শুভব্রত নিয়মিত মৃতের মায়ের পেনশনের টাকা তুলতেন। বাবা-ছেলের জালিয়াতির কারণে মৃত্যুর পরও প্রতি মাসে ব্যাংকে বীণা মজুমদারের পেনশনের টাকা আসত। জানা গিয়েছে, ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মী ডিপি গুহকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাই শুভব্রতই যে পেনশন জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত তদন্তকারীরা। তাঁকে তো বটেই, শুভব্রতর বাবা গোপাল মজুমদারকেও জেরা করবেন তাঁরা।
[৯দিন পর তেলেঙ্গানা থেকে উদ্ধার সল্টলেকের পুলিশকর্তার নাবালিকা মেয়ে, গ্রেপ্তার যুবক]
২০১৫ সালে মারা যান এফসিআইয়ের প্রাক্তন আধিকারিক বীণা মজুমদার। ব্যাংকের বক্তব্য, কোনও পেনশনভোগীর মৃত্যুর হলে বিষয়টি ব্যাংক-সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, এক্ষেত্রে তেমন কিছু হয়নি। উলটে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ব্যাংকে মায়ের জাল লাইফ সার্টিফিকেট জমা করেছেন শুভব্রত। এমনকী, এক বৃদ্ধাকে বীণা মজুমদার সাজিয়ে ব্যাংকে হাজির করানোও হয়েছিল। তাই ব্যাংককর্মীদেরও কোনও সন্দেহ হয়নি। ব্যাংকের দাবি, লাইট সার্টিফিকেটে বীণা মজুমদারের স্বাক্ষরও ছিল। এখন অবশ্য ওই স্বাক্ষরটি যে জাল, সে বিষয়ে নিশ্চিত পুলিশ ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আদালতে নির্দেশ পাভলভ মানসিক হাসপাতালে ভরতি শুভব্রত মজুমদার। তিনি বারবারই বলেছেন, মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। তাই দেহটি ফ্রিজারে সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু জালিয়াতি ধরা পড়ার পর শুভব্রতর এই বক্তব্যগুলি নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পুলিশের ধারণা, পেনশন জালিয়াতির মাস্টারমাইন্ড শুভব্রতই। ছেলের কীর্তির কথা জানতেন বাবাও। পাভলভের চিকিৎসকদের অনুমতি নিয়ে শুভব্রতকে নিজেদের হেফাজতেও নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাক্তন প্রেমিকার নগ্ন ছবি পোস্ট করে ধৃত যুবক]