Advertisement
Advertisement

কথা শুরু, জোটে কঠিন আসন ছাড়া হতে পারে ইঙ্গিত বিমানের

জোটের ক্ষেত্রে সিপিএম সুবিধাজনক আসনগুলি নিজেদের হাতেই রাখবে বলে খবর।

Biman Bose on pre-poll understanding
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:February 15, 2019 12:29 pm
  • Updated:February 15, 2019 12:29 pm

ক্ষীরোদদীপ্তি ভট্টাচার্য: শরিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনার পরই জোট নিয়ে আলোচনায় বসবে সিপিএম। এখন আসন ঝাড়াই বাছাই চলছে। কোন আসনগুলিতে লড়াই রীতিমতো কঠিন অর্থাৎ তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে রয়েছে সিপিএম ও শরিক দলগুলি সেগুলি যাচাইয়ের কাজ চলছে। তারপরই জোট নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনায় বসবে আলিমুদ্দিন নেতৃত্ব।

ইতিমধ্যেই শরিক দলগুলির সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা করেছে সিপিএম। বৃহস্পতিবার সিপিএমের রাজ্য দপ্তরে এই কথা জানিয়ে বিমান বসু বলেছেন,“বিগত লোকসভা ভোটে কোন আসনগুলিতে সিপিএম ও শরিক দলগুলি তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে রয়েছে তা খতিয়ে দেখেই জোট নিয়ে আলোচনা হবে।” রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর এই বক্তব্য থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, জোটের ক্ষেত্রে সিপিএম সুবিধাজনক আসনগুলি নিজেদের হাতেই রাখবে। তুলনায় কঠিন আসনগুলি কংগ্রেসকে ছাড়া হবে। রাজনৈতিক মহলের অভিমত, ভোটের ময়দানে শাসকদলের বিরুদ্ধে লাগাতার চড়া সুরে বিরোধিতা করলেও জোটের স্বার্থে কোনও সুবিধাজনক আসনই কংগ্রেসকে ছাড়তে রাজি নয় আলিমুদ্দিন। বিমান বসুর এই মন্তব্য়ের প্রেক্ষিতে শরিকদের বক্তব্য, সিপিএম বরাবর ৩২টি আসনে প্রার্থী দেয়। তাই জোট করার দায় সিপিএমের বেশি। এমনকী কোন আসন ছাড়া হবে তার দায়ও আলিমুদ্দিনকেই নিতে হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সিপিএমের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলোচনা সেরে ফেলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। আগামী দিনে আলোচনা আরও এগোবে, কিন্তু বিমান বসুর এদিনের এমন বক্তব্য়ে শুরুতেই হোঁচট খেতে পারে জোট প্রক্রিয়া।

Advertisement

দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী ঐক্য গড়ে তুলতে দিল্লিতে দু’দিনের ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। বিজেপি—বিরোধী সব শীর্ষনেতা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একমঞ্চে হাজির হলেও জাতীয় ক্ষেত্রে কার্যত একা হয়ে পড়েছে সিপিএম। রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা সরিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি-বিরোধী মঞ্চে সিপিএমকেও অংশ নিতে প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু বুধবারের ধরনাকে এদিন ‘দেখনি’ বলে কটাক্ষ করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। তাঁর কথায়, “বাংলায় একটা কথা আছে দেখনি। দিল্লিতে তাই হয়েছে।” তাঁর কথায়, অধিবেশনের শেষদিনে সব বিরোধী দলই জোট বেঁধে শাসকদলের বিরুদ্ধে লোকসভার ভিতরে বাইরে জোট বাঁধেন। ধরনায় বসেন। এটাই রেওয়াজ। এদিনও তাই হয়েছে। বিজেপি-বিরোধী সব আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার পাশাপাশি রাজ্য়ে তৃণমূলের সঙ্গে কোনওরকম প্রাক নির্বাচনী সমঝোতার সম্ভাবনা এদিন বাতিল করে দিয়েছেন বিমান বসু। কাল শনিবার ১৭টি বাম দল কলকাতার ধর্মতলা থেকে দক্ষিণ কলকাতার হাজরা পর্যন্ত সমাবেশ ও মিছিল করবে। পরীক্ষার জন্য কোনও মাইক্রোফোন ব্যবহার করা হবে না। হাতমাইকে বক্তব্য রাখা হবে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ