রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ইসলামপুর ইস্যুতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করলেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। ইস্টার্ন জোনাল কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দিতে রবিবার বিকেলে কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ সোমবার নবান্ন সভাঘরে এই বৈঠকে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক তার আগে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে অভিযোগ জানিয়ে এলেন রাজ্য বিজেপি নেতারা।
[ শহরে ফের অঙ্গ প্রতিস্থাপন, গৃহবধূর লিভার বসল শিক্ষকের শরীরে ]
রবিবার সন্ধ্যায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রাজভবনে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে। পরে রাহুল সিনহা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “রাজ্যে আইনের শাসন নেই। ইসলামপুরে দুই ছাত্রকে গুলি করে মারা হয়েছে। এছাড়াও থানার লকআপে যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকারকে পুলিশি নির্যাতন এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরুলিয়ায় দলীয় কর্মীদের খুনের ঘটনাগুলি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি। বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদেরও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। এইসব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি।” সিবিআই রাজ্য সরকারের বিষয়। তা সত্ত্বেও ইসলামপুর ও পুরুলিয়া নিয়ে সিবিআইয়ের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষে রাজনাথ সিং যদি রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলেন সেই অনুরোধও এদিন করেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। রাহুল সিনহার দাবি, সব শুনে রাজনাথ সিং বলেছেন তাঁর মন্ত্রকের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় তিনি করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। রাজ্য বিজেপিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাও এদিন রাজনাথ সিং বলেছেন বলে নেতৃত্বের দাবি।
[ ‘এক কোটি বাংলাদেশিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে মমতার সরকার’ ]
রাজ্যে আইনের শাসন নেই এই অভিযোগ করে রাহুল সিনহার বক্তব্য, এ রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের অনুকূল আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, ইসলামপুর কাণ্ডে নিহত দুই ছাত্রের বাবাকে নিয়ে আজ দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মতো ইসলামপুর ইস্যু নিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যেতে চায় বঙ্গ বিজেপি। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিকে আরও জোরালো করে তুলতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব।
রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, তৃণমূল নিজেরা গন্ডগোল করছে আর বিজেপির উপর দোষ চাপাচ্ছে। রবিবার সকালে শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে চায়ে পে চর্চায় প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানের অনুমতি রেল কতৃর্পক্ষ দিলেও পুলিশ দেয়নি। পুলিশ মঞ্চ খুলে দেয় বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। এরপরও অবশ্য কর্মসূচি হয়। সেখানে দিলীপ ঘোষ ছাড়াও বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির সদস্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। জয় বলেন, পুরো বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে মেল করে জানিয়েছেন তিনি।