স্টাফ রিপোর্টার: ডেলি সোপের দৌলতে ঘরে ঘরে ঢুকে পড়া ‘কিঁউ সাস ভি কভি বহু থি’-র প্রসঙ্গ উঠলে এখনও লাজুক হয়ে ওঠেন তিনি। একান্ত পারিবারিক ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা নিয়ে প্রশ্ন করলে বলেন, ভাল লাগে ভারতীয় নারী হিসাবে নিজের অনুভুতি শেয়ার করতে। আবার মন্ত্রীর চেয়ারে তিনি কড়া অথচ মানবিক। স্মৃতি জুবিন ইরানি। জুবিন শব্দটা অবশ্য আর চর্চায় নেই। কিন্তু তাঁর স্মৃতিতে রয়েছে। হাসতে হাসতে বলেন সে কথা। এবং সবাইকে অবাক করে নির্ভুল বাংলায়। স্বাভাবিক। মা যে বাঙালি। তাই কলকাতায় একাধিক অনুষ্ঠানে তিনি গড়গড়িয়ে বাংলা বলেন।
প্রশ্নকর্তা ইংরেজিতে জড়তা দেখালে তিনিই তাঁর অস্বস্তি কাটাতে এগিয়ে আসেন, “বাংলায় বলুন।” হাততালিতে ফেটে পড়েন উপস্থিত শ্রোতারা। মঙ্গলবারও তাঁর একই ভূমিকা দেখেছে কলকাতা। যেখানে শেষ করেছিলেন বুধবার রাতে সেখান থেকেই যেন ব্যাট করা শুরু করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য সম্প্রচার ও বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি। জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে যিনি দপ্তরের গবেষণা সংস্থা ইজিরার বৈঠক দিয়ে দৌড় শুরু করেছিলেন। সেই কথা উল্লেখ করে বিকেলে ফিকির মহিলাদের সংগঠনের আলোচনাসভায় বললেন, “আপনারা চাইলে পাটশিল্পকে ঘুরে দাঁড়ানোয় সাহায্য করতে পারেন।” কীভাবে? মন্ত্রী জানান, “ছোট প্রকল্প গড়ুন। সরকার পাশে আছে। আর্থিক সহায়তা পাবেন। আমরা চাই, মহিলারা স্বনির্ভর হোন। বাংলায় বিপুল সুযোগ রয়েছে। সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। কাঁচামাল তো এখানেই সহজে মেলে।”
খোলামেলা শব্দটাও যেন ক্লিশে শোনায় স্মৃতির আলাপচারিতায়। কখনও যেন পাশের বাড়ির মেয়ে। কখনও গৃহবধূ। কখনও হয়ে উঠলেন প্রশ্নকর্তার বন্ধু, সে প্রশ্ন যতই অপ্রিয় হোক না কেন। যেমন একজন জানতে চাইলেন, “বাংলায় বিজেপির কি কোনও সম্ভাবনা নেই? কেন দিল্লি বাংলাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।” হেসে ফেললেন তিনি। মজা করে বললেন, “আমি দলের সভাপতি অমিত শাহকে বলব, একজন মহিলার সন্ধান মিলেছে, যিনি বিজেপি নিয়ে আন্তরিকভাবে উৎসাহী।” তারপরই সিরিয়াস হয়ে ওঠেন। জানিয়ে দেন, “আপনি কিছুটা ঠিক বলেছেন। আমাকে অনেক বিজেপি সদস্য এবারের সফরে জানতে চেয়েছেন, দল কী ভাবছে। এমনটা নয়, যে আমরা হাত গুটিয়ে বসে। অবশ্যই বাংলা জয় আমাদের লক্ষ্য। কে বলল আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না এই রাজ্যকে। এখান থেকে সাংসদ রয়েছেন। রাজ্যসভায় প্রতিনিধি নিয়ে গিয়েছে দল। এবার আমাদের পঞ্চায়েত ও বিভিন্ন পুর এলাকা জয়ে ঝাঁপাতে হবে। তার জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে দলের।” কিন্তু প্রশ্নের মুখে ভাঙলেন তবু মচকালেন না স্মৃতি। পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে মুখে কুলুপ দিয়ে রইলেন।
ছবি: আশুতোষ পাত্র
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.