Advertisement
Advertisement
রোগীর আত্মহত্যা

বাঙুর হাসপাতালের শৌচাগারে আত্মঘাতী রোগী, নেপথ্যে মানসিক অবসাদ?

শনিবার সকালে হাসপাতাল কর্মীরাই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন৷

Body of a patient found hanging from Bangur hospital

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 13, 2019 12:14 pm
  • Updated:July 13, 2019 12:14 pm

অর্ণব আইচ: সরকারি হাসপাতালে ফের আত্মহত্যা রোগীর৷ গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় বাঙুর হাসপাতালের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয় অমরেশ দে নামে ওই ব্যক্তির দেহ৷ শনিবার সকালে হাসপাতাল কর্মীরাই প্রথম রোগীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান৷ মানসিক অবসাদে অমরেশ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছেন তাঁর পরিজনরা৷ তবে রোগীর আত্মহত্যার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন তাঁরা৷

[ আরও পড়ুন: শহরের রাস্তায় ‘ধুম’, বাইকে ধাওয়া করে ছিনতাইবাজদের স্কুটি ধরলেন দুই বন্ধু]

হুগলির ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা অমরেশ দে৷ গত ২৬ জুন আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি৷ নিয়ে আসা হয় বাঙুর হাসপাতালে৷ চিকিৎসকরা জানান, সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছে তাঁর৷ ওই হাসপাতালের অ্যানেক্স ভবনের পুরুষ বিভাগে ভরতি রেখে চিকিৎসা চলছিল অমরেশের৷ শনিবারই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল তাঁকে৷ কিন্তু ভোর চারটে নাগাদ হাসপাতালের শৌচাগারে গিয়ে অবাক হয়ে যান কর্মীরা৷ তাঁরা দেখেন, ওই শৌচাগারে গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন অমরেশ দে৷ তড়িঘড়ি চিকিৎসকদের খবর দেন হাসপাতাল কর্মীরা৷ তবে ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই রোগীর৷

Advertisement

পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে৷ কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি৷ কী কারণে বছর ৫৪-র ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করলেন, তা এখনও জানা যায়নি৷ তবে আত্মঘাতী ব্যক্তির পরিজনদের বক্তব্য, ‘এতদিন হাসপাতালে ভরতি থাকার পর শনিবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল৷ তাই আমরা যথেষ্টই খুশি হয়েছিলাম৷ কিন্তু দিনকয়েক ধরে অসুস্থতার জেরে মনের জোর হারিয়ে ফেলেছিলেন৷ আর বেশিদিন বাঁচবেন না বলে প্রায়শই আশঙ্কাও প্রকাশ করতেন৷’ কে তাঁর চিকিৎসার খরচ জোগাবে, সেই প্রশ্নও বারবার জিজ্ঞাসা করতেন পরিবারের সদস্যদের৷ ভাবনাচিন্তা থেকেই গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা বলে অনুমান পরিজনদের৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে অমর্ত্য সেনের বক্তব্য লেখা হোর্ডিং কাদের? উঠছে প্রশ্ন]

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব অমরেশের পরিজনরা৷ কীভাবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন রোগী শৌচাগারে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন, সেই প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা৷ যদিও রোগীর পরিবারের অভিযোগ এক বাক্যে খারিজ করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ প্রত্যেকটি রোগীকে সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখভাল করা হয় বলেই দাবি বাঙুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের৷ প্রকৃত ঘটনা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ