Advertisement
Advertisement

পুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদানে স্থগিতাদেশ, হাই কোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য

অথৈ জলে পুজোর অনুদান।

Calcutta HC stays Mamata Banerjee’s puja grants
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:October 5, 2018 2:24 pm
  • Updated:October 5, 2018 2:24 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় রাজ্যের ২৮ হাজার পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন গত ১০ সেপ্টেম্বর। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সেই সিদ্ধান্তে বাধা হয়ে দাঁড়াল হাই কোর্টের নির্দেশ। পুজোয় অনুদানের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

[বেহালায় ঠাকুর দেখতে যাবেন? বিকল্প পথের হদিশ দিল কলকাতা পুলিশ]

শুধু স্থগিতাদেশ দেওয়া নয়, এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের উদ্দেশ্যে একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়। আদালত প্রশ্ন তোলে কীসের ভিত্তিতে রাজ্য সরকার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনসাধারণের টাকা কীভাবে খরচ করা হচ্ছে তাঁর নির্দিষ্ট কোনও বিধিনিষেধ আছে কিনা। আদালতের আরও প্রশ্ন অন্য ধর্মের প্রধান উৎসবের ক্ষেত্রেও কী একইরকম অনুদান দেওয়া হয়? নাকি শুধু দুর্গাপুজোতেই টাকা দেওয়া হচ্ছে? মুখ্যমন্ত্রী ২৮ হাজার পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২৮ কোটি টাকা অনুদানের কথা ঘোষণা করেছেন। সেক্ষেত্রে ২৮ হাজারের বেশি দুর্গাপুজো হলে সরকার কী করবে? এভাবে বেছে বেছে টাকা দেওয়া যায় কি?

Advertisement

আদালতের একগুচ্ছ প্রশ্নের সামনে সরকারি আইনজীবী সাফাই হিসেবে বলেন, সরকার এই টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেফ ড্রাইভ  সেভ লাইফের প্রচার চালানোর জন্য। প্রচারের জন্য হোর্ডিং ও পোস্টারের পিছনে যে খরচ হবে সেই খরচ বাবদ এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আদালত পালটা প্রশ্ন তোলে প্রচারের কাজটি তো রাজ্য সরকার নিজেই করতে পারত। ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ার কী দরকার ছিল? যে টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে তা সঠিকভাবে খরচ হচ্ছে কিনা তা কীভাবে হিসেব রাখা হবে। যে উদ্দেশ্যে টাকা দেওয়া সেই উদ্দেশ্য যদি পূরণ না হয়, কিংবা সব টাকা যদি খরচ না করা যায় তাহলে কি সরকার টাকা ফেরত নেবে? আর তাই যদি নেয় তাহলে ফেরত নেওয়ার কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Advertisement

[চরমে হিন্দু হোস্টেল বিতর্ক, PWD-র সঙ্গে বৈঠক প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের]

এই সব প্রশ্নের উত্তর সরকার পক্ষের আইনজীবীকে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে হলফনামা আকারে জানাতে হবে। উল্লেখ্য, গত ১০ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ১৯ সেপ্টেম্বর সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা হয় হাই কোর্টে। এরপর আদালতে মামলা চলাকালীনই ২৪ সেপ্টেম্বর রাজ্য নির্দেশিকা জারি করে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। আদালতে মামলা চলাকালীন রাজ্যে কীভাবে বিবৃতি জারি করল তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সব মিলিয়ে যা পরিস্থিতি তাতে আদৌ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামতো পুজো কমিটিগুলি টাকা পাবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ