Advertisement
Advertisement
রাজনীতির সমীকরণ

অবসানের পথে অহি-নকুল সম্পর্ক! পুরভোটে নয়া সমীকরণ কংগ্রেস ও নকশালপন্থীদের

পুরভোটে নকশালদের হয়ে প্রচারে নামবে কংগ্রেস।

Congress and Liberation Party tried to make Allience
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:February 23, 2020 2:28 pm
  • Updated:February 23, 2020 2:28 pm

ক্ষীরোদদীপ্তি ভট্টাচার্য: চিরকালই তাদের সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। তবে রাজনীতির অন্দরে সময় বিশেষে বদলে যায় সমীকরণ। এরকমই এক নয়া সমীকরণ দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস ও নকশালপন্থীদের মধ্যে। একদা যারা একে অপরের বিরোধিতা করে গিয়েছেন, আজ তারাই লড়াই করছেন একে অপরের হয়ে। কোথাও পুরভোটে নকশালপন্থীদের সমর্থনে কংগ্রেস প্রচার করবে। কোথাও আবার নকশালপন্থীরা প্রচার করবেন বাম ও অন্যান্য দলের প্রার্থীদের হয়ে।

বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী এই মানসিকতা নিয়েই এবার কলকাতা পুরভোটে লড়াইয়ে নামতে চায় বাম সংগঠন। তাই কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে কংগ্রেস-সহ ১৭টি দলকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল–বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটে লড়বে তারা। দিনকয়েক আগে বিমান বসু ফোন করেছিলেন লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষকে। তিনি জানান, পুরভোট নিয়ে আলোচনায় বসতে চান। নকশালপন্থীদের মতোই আরজেডি ও অন্য দলগুলির সঙ্গেও ইতিমধ্যেই কথা বলতে শুরু করার তোড়জোড় শুরু করেছে আলিমুদ্দিন। গত কয়েকদিনে কংগ্রেসের সঙ্গেও কয়েক দফায় আলোচনা হয়েছে তাদের। অবশ্য সিপিএম-সহ তিন শরিক দলের শীর্ষনেতৃত্বের বক্তব্য, এবার চার বামদলেরই আসন সংখ্যা কমবে। কংগ্রেস সহ সতেরোটি দলকে সম্মানজনক সংখ্যায় ওয়ার্ড ছাড়তে হবে। তাই এই রাজনৈতিক কৌশল। ইতিমধ্যেই প্রদীপ ভট্টাচার্য, মায়া ঘোষ, তুলসী চক্রবর্তীর মতো কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেছেন সিপিএম নেতৃত্ব। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, এমনভাবে প্রার্থী দেওয়া হবে যাতে লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি হয়। আর সেইদিকে তাকিয়েই কংগ্রেসও বেশি প্রার্থী দিতে চায় না। নিজেদের ৩০টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেঁধে রাখতে চায় তারা। বাকি অন্তত ২৫ থেকে ৩০টি ওয়ার্ড ছাড়া হবে নকশালপন্থী সহ সতেরোটি দলকে। বাকি ৮০ থেকে ৮৫টি ওয়ার্ডে সিপিএম ও শরিক দলগুলি তাদের প্রার্থী দেবে। সিপিএমের প্রার্থী তালিকা প্রাথমিকভাবে তৈরি।

Advertisement

[আরও পড়ুন:বেতন বাড়ল রাজ্যের এই দপ্তরের কর্মীদের, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মন্ত্রীর]

পাঁচ বছর আগের পুরভোটে ফরওয়ার্ড ব্লক ১১টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিলেও একটিতেও জিততে পারেনি। সিপিআই ১৩টি ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছিল। আবার আরএসপি দুই প্রার্থী জিতলেও একজন পরে তৃণমূলে যোগ দেন। সেই পরিস্থিতি কিছুটা কাটিয়ে চাঙ্গা হয়ে উঠলেও শরিকদলে প্রার্থী বাছাই নিয়ে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। এই সমস্যা মেটাতে প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপঙ্কর দে, পদ্মনিধি ধরের মতো ব্যক্তিরা এগিয়ে এসেছেন। তবে প্রার্থী বাছাইয়ে নবীনদের ওপরেই আস্থা রাখছে বাম সংগঠন। বিশেষত সদ্য লেখাপড়ার পাট চুকিয়েছেন এমন প্রার্থীর দিকেই ঝোঁক বামেদের। সিপিএম এমন প্রার্থী পেলেও শরিক দলগুলিকে বেগ পেতে হবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে কংগ্রেস বা অন্যদলের সমর্থনে নকশালপন্থীদের প্রচার সম্পর্কে বাম দলের এক নেতা তির্যক মন্তব্য করে বলেছেন, “প্রার্থী দিলেও জয়ের নজির নেই লিবারেশনের। এবার সার্বিক উদ্যোগে কেউ জিতে গেলে অবাক হওয়ার নেই।” তবে এই সকল মন্তব্যে কর্ণপাতে রাজি নয় লিবারেশন পার্টি। ফের লড়াই করেই ঠিক করতে চায় নিজেদের ভবিষ্যত।

Advertisement

[আরও পড়ুন:ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যার চেষ্টা, বন্ধুর সহযোগিতায় যুবকের প্রাণ বাঁচাল পুলিশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ