Advertisement
Advertisement

Breaking News

দলবদলের আশঙ্কা উসকে দু’বারের সাংসদ মইনুলকে বহিষ্কার করল সিপিএম

রাজনীতিতে নতুন ইনিংস শুরুর বার্তা মইনুলের৷

CPM expels ex-MP Moinul Hasan for corruption
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 13, 2018 8:39 pm
  • Updated:July 13, 2018 9:17 pm

ক্ষীরোদদীপ্তি ভট্টাচার্য: দু’বারের সাংসদ মইনুল হাসানকে বহিষ্কার করল সিপিএম৷ রাজ্য কমিটিতে থেকে বাদ দেওয়ার পর আজীবনের জন্য মইনুলের সঙ্গে সম্পর্ক পাকাপাকি ভাবে ছিন্ন করল বামফ্রন্টের বড় শরিক সিপিএম৷ দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও বেহিসেবি সম্পত্তি রাখার অভিযোগে আজ সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে মইনুলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা সুপারিশ পেশ করে ঘোষণা করা হয়৷ অভিযোগ, হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি কেনা-বেচা সংক্রান্ত দলীয় রিপোর্টের ভিত্তিতে মইনুলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ গৃহীত হয় সিপিএম রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে৷ যদিও, দলের তরফে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক সপ্তাহ আগেই ৪২ বছরের নাড়ির টান ছিঁড়ে সিপিএম ছাড়ার আগাম ঘোষণা করে রাজনীতিতে নতুন ইনিংস শুরু করার বার্তা দেন মইনুল হাসান৷

[পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ট্রেনের সামনে মরণ ঝাঁপ যুগলের]

দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণার পর মইনুল হাসানের মন্তব্য, ‘‘সিপিএমের এটাই সংস্কৃতি৷ যাঁকে বহিষ্কার করা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোই সিপিএমের একমাত্র কাজ৷ আমি কোনও সম্পত্তি কেনা-বেচার সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না৷ তবুও, আমার বিরুদ্ধে দোষ চাপানো হয়েছে৷ কারণ, দলের অন্দরে চাপে পড়ে সূর্যকান্ত মিশ্ররা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷’’ তবে, সিপিএমের সঙ্গে ৪২ বছরের সম্পর্কে ছেদ পড়লেও রাজনীতি থেকে সরছেন না দু’বারের এই বিধায়ক৷ মুর্শিদাবাদের প্রাক্তন সাংসদ মইনুল হাসান সম্প্রতি বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠকে দল ছাড়ার ঘোষণা করেন। রাজনীতির মঞ্চে তিনি নতুন করে ফিরছেন বলেও দলবদলের আশঙ্কা উসকে দেন৷ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক সন্ন্যাস নয়, বরং নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমি আবার রাজনীতিতে ফিরছি৷’’

Advertisement

[কোচবিহার কলেজে টিএমসিপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গুলিবিদ্ধ পড়ুয়া]

তবে, বিজেপি বিরোধী জোট শিবিরের শক্তি বাড়াতে সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলের দিকে কি যাবেন প্রাক্তন এই সাংসদ? জল্পনা উসকে দিলেও ভাঙতে নারাজ মইনুল হাসান৷ সাংসদের তরফে কোনও কিছু খোলসা না করা হলেও রাজনীতিক মহলের ছড়িয়েছে দলবদলের জল্পনা৷ মনে করা হচ্ছে, সিপিএমের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়ার দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল তাঁর৷ এমনকী, আমন্ত্রণ পেলেও দলের পার্টি কংগ্রেসে যাননি তিনি৷ জেলার নতুন সম্পাদকমণ্ডলী গঠিত হলে সেখানেও থাকতে চাননি৷ দীর্ঘদিন ধরেই সিপিএমের সম্পর্ক সুতোর উপর ঝুলছিল৷ রাজ্য সম্মেলনে মইনুলকে বাদ দেওয়ার পরই আলগা হতে থাকে ৪২ বছরের নাড়ির টান৷ দলের উপর ক্ষোভপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হতে দেখা যায় তাঁকে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘থুতু দিয়ে হৃদয় জোড়া যায় না’

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ