রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাত পোহালেই তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশ। মোদি বিরোধীদের শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চকে ‘সার্কাস’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘কাল সার্কাস হবে। কেউ রিটায়ার্ড, তো কেউ টায়ার্ড। ভাড়া করা সৈন্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্রিগেডের যদি সত্যি কোনও গুরুত্ব থাকত, তাহলে রাহুল গান্ধী নিজে আসতেন।’ তবে রাজ্য সভাপতি যাই বলুন না কেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কিন্তু ব্রিগেড সমাবেশের নজর রাখবেন বলে জানা গিয়েছে।
[ সাফল্য চেয়ে চিঠি, ব্রিগেডে মহাজোটের মঞ্চে মমতার পাশে রাহুল গান্ধী]
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবেগৌড়া, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী, উত্তরপ্রদেশের অখিলেশ যাদব, ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন। শহরে চলে এসেছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতারা। শনিবার ব্রিগেড সমাবেশে বামেরা বাদে প্রায় সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাই থাকবেন। সরগরম শহর কলকাতা। বৃহস্পতিবার নিজে গিয়ে সভার প্রস্ততি দেখে এসেছেন তৃণমূলনেত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘আসন্ন লোকসভা ভোটে আঞ্চলিক দলগুলি দলগুলিই নির্ণায়ক শক্তি হবে। ১২৫-এ থেমে যাবে বিজেপি।’ ব্রিগেডে সোনিয়া গান্ধীকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর শরীর ভাল নয়। কংগ্রেসে প্রতিনিধি হয়ে আসছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। শুক্রবার ব্রিগেড সমাবেশে সাফল্য কামনা করে তৃণমূলনেত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। চিঠিতে এ রাজ্যের শাসকদলের নেত্রীকে ‘মমতা দি’ বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। সবমিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে ব্রিগেড সমাবেশে মোদি বিরোধীর রাজনৈতিক দলগুলির ঐক্য ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
কলকাতায় বিরোধীদের ব্রিগেড সমাবেশকে অবশ্য একবারেই আমল দিতে নারাজ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সমাবেশকে ‘সার্কাস’ বলে তো কটাক্ষই করলেনই, শুক্রবার সন্ধ্যায় আবার কয়েকজন অনুগামীকে নিয়ে হাওড়ার একটি শপিংমলে ‘অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ ছবিটিও দেখলেন তিনি।
[অমিত শাহর অসুস্থতার কারণে রাজ্যে পিছোল বিজেপির কর্মসূচি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.