Advertisement
Advertisement

Breaking News

Durga Puja

করোনা সংকটের আবহে সেলিব্রিটিদের দুর্গাপুজো উদ্বোধনে চাইছে না উদ্যোক্তারা

সেলিব্রিটি মানেই তো মানুষের ভিড়।

Durga Puja 2020 Bengali news: Puja committees don't want celebrities for inauguration in COVID-19 situation | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Suparna Majumder
  • Posted:September 17, 2020 11:46 am
  • Updated:September 17, 2020 5:03 pm

অর্ণব আইচ: সেলিব্রিটি মানেই মানুষের ভিড়। তাই করোনা পরিস্থিতিতে (CoronaVirus) পুজোর উদ্বোধনের জন্য বাইরের সেলিব্রিটিদের কলকাতায় আমন্ত্রণ জানাতে চাইছেন না পুজো উদ্যোক্তারা। উদ্যোক্তাদের মতে, এবার কলকাতায় আলোর রোশনাইও কম থাকবে। দর্শনার্থীদের অনুরোধ করা হচ্ছে, তাঁরা যেন দিন ও রাত, দুই বেলায় ঠাকুর দেখেন। তার ফলে পারস্পরিক দূরত্ব মানা সহজ হবে। বুধবার ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’-এর (Forum for Durgotsab) সভাপতি কাজল সরকার ও সম্পাদক শাশ্বত বসু জানান, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে (Netaji Indoor Stadium) ‘মায়ের জন্য রক্তদান’ নামে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে, রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) ডিজি প্রত্যেক জেলা ও পুলিশ কমিশনারেটের থানাগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশ অফিসাররা যেন প্রত্যেক পুজো কমিটির সঙ্গে তাঁদের থিম ও মণ্ডপ নিয়ে আলোচনা করেন। খোলামেলা মণ্ডপের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

এই বছর বেশিরভাগ দুর্গাপুজো (Durga Puja) উদ্যোক্তাই বাইরে থেকে বড় কোনও সেলিব্রেটিকে নিয়ে আসার কথা ভাবছেন না। পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, সেলিব্রিটিরা এলে অনেক সময় মানুষের ভিড় সামলানো যায় না। সেই কারণে সেলিব্রিটিরা পুজোর উদ্বোধন করুন, তা চাইছে না পুলিশও। ফোরামের কর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের যা নির্দেশ দেবেন, তাই পালন করা হবে। তবে ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশ মণ্ডপের সামনে বাঁশ পড়েছে। কোনওভাবেই যাতে জনসমাগম না হয়, সেই ব্যবস্থা এখন থেকেই করা হচ্ছে। পুজোর মণ্ডপ সংলগ্ন মেলা নিয়ে সরকারের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তবে যাঁদের বড় জায়গা রয়েছে, তাঁরা ছোট করে মেলার আয়োজন করতে পারেন কি না, তা ভাবা হচ্ছে। বিসর্জনের সময় যাতে ভিড় না হয, সেদিকে নজর রাখা হবে। একসঙ্গে যাতে কম সংখ্যক মহিলা সিঁদুর খেলেন, সেই কথাই ভাবা হচ্ছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মহালয়ায় ভোর থেকেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে ভিড়, কোভিডবিধি মেনে চলছে তর্পণ]

যাঁরা বড় জায়গা নিয়ে পুজো করেন তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু গলি বা অপরিসর রাস্তায় যাঁরা পুজো করেন, তাদের ভাবনা বেশি। তাঁরা একাধিক প্রবেশ ও বেশি সংখ্যক বাইরে বেরোনোর গেট ও যাতে অপরিসর রাস্তাও দূর থেকে প্রতিমা দর্শন করা যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি গেটে স্যানিটাইজিং টানেল রাখা হচ্ছে। প্রবেশের সময় দর্শনার্থীদের তাপমাত্রা দেখা হবে। একসঙ্গে ৩৫ থেকে ৩০ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। এই বছর আলোর চাকচিক্য কম রাখা হচ্ছে। তার ফলে দিন ও রাত, যে কোনও সময়ই ঠাকুর দেখতে পারেন দর্শনার্থীরা। তাতে কম লাইন দিতে হবে। তবে পারস্পরিক দূরত্ব মেনেই ঠাকুর দেখার লাইন দিতে হবে। সিনিয়র সিটিজেনদের জন্যও আলাদা গেট রাখা হবে। একই সঙ্গে যাতে ট্রাফিক সংক্রান্ত অসুবিধা শহরের কোথাও না হয়, তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে পুজো উদ্যোক্তারা কথা বলছেন।

ফোরামের পক্ষ থেকে উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, যেন ভোগে কাটা ফল না দেওয়া হয়। অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দিতে সবাই যাতে একসঙ্গে মণ্ডপে ভিড় না করেন। ফোরামের সম্পাদক শাশ্বত বসু জানান, এই বছর অষ্টমীর দিন পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার জন্য সাড়ে চার ঘণ্টা সময় আছে। ফলে আট থেকে দশটি বাড়ির বাসিন্দারা একসঙ্গে অঞ্জলি দিতে পারবেন। পরে আবার অন্য বাড়ির লোকেরা। তাহলে পারস্পরিক দূরত্ব মানা সম্ভব হবে। যথাসম্ভব খোলামেলা জায়গা রেখে সমস্যার সমাধান করতে চাইছেন পুজো উদ্যোক্তারা। আজ, বৃহস্পতিবার মহালয়ার দিন ৭০ জন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পের হাতে চার হাজার টাকা করে তুলে দেবে ফোরাম।

[আরও পড়ুন: ‘কেউ উৎসব থেকে বঞ্চিত হবেন না’, কোভিড পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজো নিয়ে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ