Advertisement
Advertisement

Breaking News

Durga Puja

দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়ায় খুশি কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা, চলছে সেলিব্রেশনের প্রস্তুতি

উদ্যোক্তাদের আফশোস, আরও আগে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ছিল।

Durga Puja organisers planning to celebrate as UNESCO listed Durga Puja as heritage | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 16, 2021 12:28 pm
  • Updated:December 16, 2021 3:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউনেস্কোর ‘কালচারাল হেরিটেজ’ (Cultural Heritage) তালিকায় স্থান পেয়েছে কলকাতার দুর্গোৎসব (Durga Puja)। জয় হয়েছে বাঙালির। বহু অপেক্ষার পর এই স্বীকৃতি মেলায় খুশির জোয়ারে ভাসছেন কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা। আনন্দে মেতেছেন পুজোর শিল্পী থেকে কলাকুশলী- সকলে। আর তাই কোভিডবিধি মেনে সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা করছেন উদ্যোক্তারা। তবে কবে, কীভাবে এই সেলিব্রেশন হবে, তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এমন আনন্দের দিনেও উদ্যোক্তাদের আফশোস, আরও আগে এই স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ছিল। 

বুধবার ইউনেস্কোর টুইটারে লেখা হয়, “সিটি অফ জয়ের (কলকাতার উৎসবের পালা) উদযাপনের সময়। মানবসভ্যতার অতুলনীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় যুক্ত হল কলকাতার দুর্গাপুজো।” ধর্মের বেড়াজাল ভেঙে সবার উৎসবে পরিণত হয়েছে বাংলার এই পুজো। অর্থ-জাত-বর্ণ-ধর্মের ভেদাভেদ ভুলে সকলে মেতে ওঠেন এই উৎসবে। এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের জন্যই ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা জিতে নিয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। এই ‘পুরস্কার’ পেয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন কলকাতার পুজো উদ্যোক্তারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বড়দিন ও বর্ষবরণে শিথিল রাজ্যের কোভিডবিধি, ৯ দিন থাকছে না রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞা]

এ প্রসঙ্গে ফোরাম ফর দুর্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসু জানিয়েছেন, “আমরা অত্যন্ত খুশি। সকল বাঙালি তথা ভারতবাসীর জন্য গর্বের দিন আজ। আমরা অনেকদিন ধরেই চেয়েছিলাম যে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিক। কারণ, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া মানে বিশ্বজোড়া নাম হওয়া।” তিনি আরও বলেন, “এটা আরও আগে হলে ভাল হত। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় শেষমেশ এটা হল। এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

Advertisement

এই স্বীকৃতি মেলায় আনন্দে ভেসেছেন পুজো উদ্যোক্তারা। তাঁরা সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা করছেন। খুশি শিল্পীরা। এ প্রসঙ্গে শিল্পী সনাতন দিন্দা ফেসবুকে লেখেন, “আমাদের যৌথ প্রচেষ্টায় এই জয়। দুর্গাপুজোর সঙ্গে জড়িত সব সংগঠন , শিল্পী, সহশিল্পীর সঙ্গে অনুসারী শিল্প সংগঠক, প্রশাসন, আপামর ভারতবর্ষের জনগণের জয় হল। জয় দুর্গাপুজো, শিল্পের জয়, জয় দুর্গা।”

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালে শেষবার এই স্বীকৃতি পেয়েছিল ভারতীয় উৎসব কুম্ভমেলা। তার আগে ২০১৬ সালে যোগচর্চাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো। ২০১৪ সালে সাংস্কৃতিক হেরিটেজের স্বীকৃতি পেয়েছিল পাঞ্জাবের ঐতিহ্যবাহী পিতল এবং তামার কারুকাজ। ২০১৩ সালে মণিপুরের সংকীর্তন অনুষ্ঠানের গানকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার ছৌ লোকনৃত্যও ২০১০ সালে এই স্বীকৃতি পেয়েছিল।

[আরও পড়ুন: নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণের ‘মিথ্যে’ অভিযোগ, জেলে গেলেন খোদ অভিযোগকারিণী মা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ