দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনার পর আমফানে বিধ্বস্ত রাজ্য। ফলে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিন পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে কবে হবে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা, তা নিয়ে ধন্দ বাড়ছে। পরীক্ষার সূচি সম্পূর্ণভাবে নির্ধারণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়। শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এ নিয়ে এদিন উপাচার্য পরিষদ বৈঠকও বসেছিল। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার উপাচার্য পরিষদ রাজ্যকে এই সুপারিশ করেছে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, উপাচার্য পরিষদের প্রস্তাবে মান্যতা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে আমফানে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের গাছ নষ্ট হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন মন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নতুন করে গাছ লাগানোর আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেশজুড়ে করোনা সংক্র্মণে লাগাম পড়াতে একটানা দু মাস ধরে লকডাউন চলছে। যার ফলে বন্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। অনলাইন ক্লাস চলছে ঠিকই, কিন্তু পরীক্ষা কবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। লকডাউন ঘোষণার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, স্নাতক বা স্নাতকোত্তরের বিভিন্ন সেমেস্টারের পড়ুয়াদের পরীক্ষা ছাড়াই পরের সেমেস্টারে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হবে। শুধু ফাইনাল সেমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু কবে সেই পরীক্ষা গ্রহণ হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছিল।প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছেন ১০ জুন পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। এটাই ঠিক ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। আমফানে বিধ্বস্ত বাংলা। ৩০ জুন অবধি স্কুলগুলি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নেবে বলে জানান পার্থবাবু। তবে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার মানবিকভাবে বিচার করার আবেদন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর হিসেবে ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডবে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছে। বেশ কিছু ভবনের ক্ষতি হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর আবেদন, একটি গাছ নষ্ট হলে পাঁচটি রোপণ করুন। অন্যদিকে রাজ্যপালও বৃক্ষ রোপনের পরামর্শ দিয়ে উপাচার্যদের এদিন চিঠি পাঠিয়েছেন।
একইসঙ্গে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধীদেরও তুলোধনা করেন। তাঁর কথায়, “অনেকেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন। রাজ্যের ভাল কাজের কোনও প্রশংসা নেই। শুধু মিথ্যা প্রচার করে যাচ্ছে।” পার্থবাবুর আক্ষেপ, “কয়েকজন রাজ্যে কত গাছ পড়ল স্রেফ তার হিসেব কষছেন। কিন্তু কতজন মানুষ মারা গেলেন, তাদের পাশে কীভাবে দাঁড়ানো যায়, তা নিয়ে বিরোধীদের মাথাব্যথাই নেই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.