দিব্যেন্দু মজুমদার: রিষড়ার বিধান কলেজে ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় নড়েচড়ে বসল শাসক দল। কুপ্রস্তাবে সাড়া না দেওয়ায় কলেজের কম রুমে এক ছাত্রীকে নির্মমভাবে প্রহারের অভিযোগ উঠল কলেজের টিএমসিপির ছাত্রনেতা শাহিদ হাসান খানের বিরুদ্ধে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ছাত্রীকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্তর পাশে যে দল থাকবে না, সে কথাও হাবেভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস, ‘কেউ দোষ করে থাকলে পার পাবে না।’ হুগলির তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্তর কাছ থেকে রিপোর্টও চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই ব্যবস্থা নেবে দল। সংবাদমাধ্যমে ওই সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পর ঘটনাটি নিয়ে হইচই শুরু হয়। বিতর্কের জেরে পদত্যাগ করেছে অভিযুক্ত শাহিদ।
[ঐত্রীর পরিবারকে শাসানি, আমরির ইউনিট হেড জয়ন্তীকে আজই থানায় তলবের সম্ভাবনা]
ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৪ ডিসেম্বর। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজটি প্রকাশ্যে আসে সম্প্রতি। এরপরই চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্তকে ছাত্রনেতাকে কলেজের ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ ছাড়তে বলেন টিএমসিপি সভানেত্রী জয়া দত্ত। নিগৃহীতার অভিযোগ, বহুদিন ধরেই এই অত্যাচার চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। শাহিদের বাবা রিষড়ার উপ পুরপ্রধান। এই প্রভাব খাটিয়ে কলেজে যথেচ্ছাচার চালায় সে। এরই প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। অর্থিক নয়ছয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। এর জেরেই উত্যক্ত করা হত তাঁকে। শাহিদের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ারও অভিযোগ এনেছেন তিনি। তিনি জানান, ঘটনার দিন শাহিদ তাঁর মোবাইল দেখতে চেয়েছিল। তা না দেওয়াতে মহিলাকে এমন নির্মমভাবে মারধর করা হয়। যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যায় অভিযোগকারী ছাত্রীকে চড় মারছে শাহিদ। তাঁকে ব্যাগ দিয়েও আঘাত করা হচ্ছে। তারপর ঘাড়ধাক্কা দিয়ে কলেজের ঘর থেকে বের করে দেওয়া হয়।
[অজানা চোরের আতঙ্কে তটস্থ বাঁকুড়াবাসী, বিভ্রান্তিতে নাজেহাল পুলিশও]
লাগাতার হুমকির জেরে আতঙ্কিত ছিলেন ওই ছাত্রী। তাই এতদিন অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি। কিন্তু বৃহস্পতিবারও তাঁর বাড়িতে গিয়ে কয়েকজন ছাত্রছাত্রী হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই এসডিপিও-র কাছে গিয়ে তিনি অভিযোগ জানান। ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে টিএমসিপি সভানেত্রী জয়া দত্ত জানান, এমন ঘটনা দলের অন্দরে বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্ত ছাত্রনেতাকে ইতিমধ্যেই কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে গিয়ে জিএস-এর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পরে গিয়ে সে ইস্তফা দেয় ওই অভিযুক্ত ছাত্রনেতা। তা না করলে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। তবে এরপরও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ছাত্রী। যদিও জয়া দত্ত জানিয়েছেন, ছাত্রীর নিরাপত্তার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে দেখতে বলা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও-
[বন্দি-কারারক্ষী সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ হুগলির জেল, মুড়ি মুড়কির মতো পড়ল বোমা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.