Advertisement
Advertisement

Breaking News

সম্পর্কের জট

সূত্র ‘হার্টবিট’, গড়িয়াহাটে বৃদ্ধা খুনে মোবাইলের নাম দেখে সম্পর্কের জট খুলছে পুলিশ

ধৃত ডিম্পলের ফোনে ১৬ বছরের ছোট প্রেমিকের নম্বর ওই নামেই সেভ করা।

Gariahat old lady murder: The name saved in accussed mobile 'heartbeat' is clue
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 15, 2019 2:35 pm
  • Updated:December 15, 2019 2:38 pm

অর্ণব আইচ: হার্টবিট। মোবাইলের কললিস্টে এই নাম দেখে ধাঁধায় পড়ে গিয়েছিলেন দুঁদে গোয়েন্দারা। গড়িয়াহাটের বৃদ্ধা উর্মিলাদেবীর খুনের ঘটনায় ধৃত তাঁর বড় পুত্রবধূর মোবাইলই অনেক সূত্র পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, ‘হার্টবিট’ নামেই মোবাইলে ১৬ বছরের প্রেমিক সৌরভ পুরীর নাম সেভ করে রেখেছিল ধৃত ডিম্পল জুন্ড। খুনে মূল অভিযুক্ত সৌরভের নৃশংসতাও তাঁদের ভাবিয়ে তুলেছে।
কীভাবে সে ঠান্ডা মাথায় খুনি হয়ে উঠল, তার উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।

জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কণিকা জুন্ড ওরফে গুড়িয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় সৌরভ পুরীর। কিন্তু মেয়ের বন্ধুকে রীতিমতো ‘হাইজ্যাক’ নিজের প্রেমিক করে নেয় মা ডিম্পল। ‘হার্টবিট’ বলে ১৬ বছরের ছোট প্রেমিক সৌরভের মোবাইল নম্বর নিজের মোবাইলে সেভ করেছিল ডিম্পল জুন্ড। জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত ‘হার্টবিট’ সৌরভ রিচি রোডে ডিম্পলের ফ্ল্যাটেই সময় কাটিয়েছে।
কখনও মা, কখনও মেয়ের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এমনকী উভয়ের সঙ্গে সে সেক্স চ্যাট করত বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ। আর তখন থেকেই বৃদ্ধাকে খুনের পরিকল্পনা করতে থাকে তারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উত্তরে তুষারপাত, পৌষের আগেই কলকাতায় জাঁকিয়ে শীত]

পুলিশ আরও জানতে পারে, বুধবার রাতে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মেশালেও বৃদ্ধার ঘুম আসেনি। তাই সৌরভ তাঁকে খুনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লে প্রথমে বাধা দেন উর্মিলাদেবী। অভিযোগ, তখন গুড়িয়াই তার ঠাকুমার মুখে বালিশ চাপা দেয়। অনভিজ্ঞ ‘খুনি’ সৌরভ বাধা পেয়ে খুনের জন্য বারবার আঘাত করতে থাকে পেটে। চিরে দেয় পেট। হাতেও আঘাত করে। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে পোঁচ দিয়ে ধড় ও
মাথা আলাদা করে দেয়। খুনের পর ঠান্ডা মাথায় অস্ত্র ব্যাগে ঢুকিয়ে নেয়। প্রমাণ না রাখার জন্য বেসিনে হাতও ধোয়নি সে। বৃদ্ধার ঘর থেকে লাখখানেকেরও বেশি টাকা ও গয়না লুট করে তারা। পুলিশের চোখে ধোঁকা দিতে ঘটনাস্থলে বসে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানায়, সে দিল্লিতে রয়েছে। হাজরা রোড থেকে তার বিমানবন্দরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় ‘প্রেমিকা’ ডিম্পল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঠাকুমাকে খুনের অভিযোগে শ্রীঘরে মা-দিদি, অনাথ কিশোরীর ভরসা এখন দুই ‘ঋতু’]

লুঠের ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বিমানবন্দরে টিকিট কেটে পাঞ্জাব চলে যায়। ফ্ল্যাটে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ে ডিম্পল ও তার মেয়ে গুড়িয়া। আবার ঠান্ডা মাথায় গুড়িয়া ঠাকুমার বাড়ির সামনে ‘টিকটক’ করেছিল বলেও জানা গিয়েছে। ধৃত ডিম্পলের কাছ থেকে ১৩টি গয়না ও ৭০ হাজার টাকা, তার মেয়ে কণিকা ওরফে গুড়িয়ার কাছ থেকে পাঁচটি গয়না উদ্ধার হয়েছে। পাঞ্জাবে ধৃত সৌরভের কাছ থেকেও উদ্ধার হয়েছে
টাকা ও গয়না। তিনজনকে একসঙ্গে বসিয়ে জেরা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ