সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যবধান মোটে তিনদিনের। ফের ভেঙে পড়ল ডানলপ ব্রিজের হাইটবার। এরআগে ব্রিজে ওঠার মুখে যে হাইটবারটি ভেঙে পড়েছিল, বুধবার সকালে ফের সেটিই ভেঙে পড়ে। ডানলপ ব্রিজে ভারী গাড়ি চলাচল ঠেকাতে আপাতত বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করেছে পুলিশ। বাস-লরি বাদে অন্যান্য ছোট গাড়ি চলছে।
[তৃণমূল-বিজেপির দাপটে ব্রিগেড সমাবেশ পিছিয়ে দিল বামেরা]
উত্তর শহরতলির অন্যতম ব্যস্ত সেতু ডানলপ ব্রিজ। ব্রিজে গাড়ি চলাচলের বিরাম নেই। এই ব্রিজে পণ্যবাহী ভারী গাড়ি চলাচলে আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। সম্প্রতি মেরামতির কারণে ডানলপ ব্রিজে ছোট গাড়ি চলাচলও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ব্রিজে ওঠার মুখে লাগানো হয় হাইটবার। পরে অবশ্য ছোট গাড়ি ব্রিজে ওঠার অনুমতি পায়। শনিবার ভোরে দক্ষিণশ্বরের দিক থেকে ডানলপ ব্রিজে ওঠার মুখে হাইটবারে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। আড়াআড়িভাবে ভেঙে পড়ে হাইটবারটি। এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। সে যাত্রায় তড়িঘড়ি মেরামত করে পরিস্থিতি সামাল দেয় প্রশাসন। বুধবার সকালে ফের হাইটবারটি ভেঙে পড়ল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সকালে তাঁরা দেখেন, ব্রিজে ওঠার মুখে হাইটবারটি ভেঙে পড়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। আপাতত বাঁশের ব্যারিকেড তৈরি করে ডানলপ ব্রিজে ভারী গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
শনিবারই যে হাইটবারটি মেরামতি করা হয়েছিল, সেটি ফের ভেঙে পড়ল কেন? পুলিশের বক্তব্য, তড়িঘড়ি মেরামত করতে গিয়ে সম্ভবত ঢালাইয়ের কোনও গন্ডগোল হয়েছিল। মাঝেরহাট কাণ্ডের পর শহর ও শহরতলির সবকটি সেতুরই স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যথারীতি ডানলপ ব্রিজেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্টে বলা হয়, ব্রিজের পিলারগুলি উপরের অংশে যে বিয়ারিং রয়েছে, সেগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। বেশ কয়েকটি আবার সরেও গিয়েছে। বিয়ারিংগুলি যদি সঠিক জায়গায় না থাকে কিংবা অন্য কোনও সমস্যা দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে ব্রিজ ভেঙে পড়তে পারে।
[ বাজি পুড়িয়ে বাক্স ফেরত দিলেই মিলবে টাকা!]