Advertisement
Advertisement

Breaking News

তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী

বন্ধু রনিকে পালাতে দিয়েছে পুলিশই! IT কর্মীর রহস্যমৃত্যুতে বিস্ফোরক অভিযোগ পরিবারের

সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব নিহতের পরিবার।

IT employee Abhishek Mandal's family demands for CBI investigation
Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 20, 2019 4:36 pm
  • Updated:October 20, 2019 7:13 pm

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: ছেলের রহস্যমৃত্যুর পর কেটে গিয়েছে প্রায় বারোদিন। তবে তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত পুলিশ কোনও কিনারা করতে পারেনি। তাই পুলিশের উপর আস্থা হারালেন নিহত তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অভিষেক মণ্ডলের বন্ধু-আত্মীয়রা। পুলিশের পরিবর্তে মৃত্যুরহস্যের কিনারা করুক সিবিআই, এই দাবিতে বিধাননগর মহকুমা আদালতে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করছেন তাঁর পরিজনেরা। সূত্রের খবর, সোম কিংবা মঙ্গলবারই আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন তাঁরা।

বেঙ্গালুরুতে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজ করতেন অভিষেক। নিউটাউনের বাসিন্দা ওই যুবক পুজোয় শহরে ফিরেছিলেন। নবমীতে তাঁর বন্ধু রনির সঙ্গে বিধাননগরে ঠাকুর দেখতে যান। সঙ্গে ছিলেন আরও দুই বন্ধু। রনির দাবি, বিধাননগরে মদ্যপানও করেন তাঁরা। অভিষেকের নেশা বেশি হয়ে যাওয়ায় তাঁর পক্ষে আর রাতের খাবার খেতে যাওয়া সম্ভব হয়নি। ওই এলাকার একটি পার্কেই ঘুমিয়ে পড়েন অভিষেক। বাকি বন্ধুরা তাঁকে রেখে দিয়ে খাওয়াদাওয়া করতে যান। তারপর বন্ধুকে উদ্ধার করতে আসেন। রনির দাবি অনুযায়ী, রাস্তা পেরনোর সময় আচমকাই একটি গাড়ি ধাক্কা মারে অভিষেককে। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলার পর মারা যান অভিষেক।

Advertisement

নিহতের পরিজনদের দাবি, রনি যা বলছে তার পুরোটাই সাজানো। তাঁদের অভিযোগ, ওই বেসরকারি হাসপাতালে অভিষেকের যথাযথ চিকিৎসা হয়নি। এছাড়া ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এবং রনির বয়ানে তৈরি হয়েছে জটিলতা। কারণ, রনির দাবি অভিষেকের দুর্ঘটনা হয়েছিল। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ওই তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রশ্ন উঠছে তবে দুর্ঘটনায় ঠিক কীরকম চোট পেয়েছিলেন অভিষেক?

Advertisement

[আরও পড়ুন: পুজোমণ্ডপে বউদির কোমর দোলানো নাচ, নেটদুনিয়ায় উষ্ণতা ছড়াচ্ছে ভাইরাল ভিডিও]

বিধাননগর (দক্ষিণ) থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্তকারীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন নিহত অভিষেকের পরিজনেরা। তাঁদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রনির হাতে অভিষেকের পোশাক, চশমা, ঘড়ি অক্ষত অবস্থায় ফেরত দেয়। পুলিশ অভিষেকের ব্যবহৃত ওই সমস্ত সামগ্রী কেন বাজেয়াপ্ত করল না? কেন মৃত ব্যক্তির ব্যবহৃত সামগ্রী রনির হাতে ফেরত দেওয়া হল? অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে রনি দাবি করেছিলেন তিনি তদন্তে সম্পূর্ণভাবে সহযোগিতা করবেন। তবে তা সত্ত্বেও ঘটনার পর থেকে মোবাইল সুইচড অফ রনির। এলাকাতেও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না তার। নিহতের পরিজনদের অভিযোগ, বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ রনিকে পালাতে সাহায্য করেছে।

অভিষেকের রহস্যমৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়েছে ঠিকই। তবে তা সত্ত্বেও  নিহতের প্রতিবেশী-বন্ধু ধূর্জটি মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, পুলিশ তদন্তে উদাসীন। ইতিমধ্যেই আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সোম কিংবা রবিবারই সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিধাননগর মহকুমা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন বলেও জানান নিহতের প্রতিবেশী-বন্ধু।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ