Advertisement
Advertisement
KMC

পুর অধিবেশনে মোবাইলে ব্যস্ত কাউন্সিলর, ফোন কাড়ার নির্দেশ ক্ষুব্ধ মালা রায়ের

পুর অধিবেশনে নিয়ম না মানায় ক্ষুব্ধ পুর চেয়ারপার্সন।

KMC Chairperson orders to take mobile from Councilor | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:March 21, 2023 3:18 pm
  • Updated:March 21, 2023 3:18 pm

অভিরূপ দাস: অধিবেশনে বক্তব্য রাখছেন কাউন্সিলর। এদিকে মোবাইলে ব্যস্ত তাঁর সহকর্মী। বারবার তাঁকে বারণ করেও লাভ হয়নি। শেষমেশ তাঁর মোবাইল কেড়ে নিতে নির্দেশ দিলেন চেয়ারপার্সন মালা রায়। মঙ্গলবার বাজেট অধিবেশনের তৃতীয় দিনে ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জলি বসুকে দেখা যায় মোবাইলে তারস্বরে চিৎকার করছেন। চেয়ারপার্সন মালা রায় পুরসভার এক কর্মচারীকে নির্দেশ দেন, “এক্ষুনি ওঁর মোবাইল কেড়ে নিন।” মোবাইল নিয়ে আসতেও যান কর্মচারী। যদিও মোবাইল দিতে চাননি ওই কাউন্সিলর।

সেসময় অধিবেশনে বক্তব্য রাখছিলেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিন্দ্য কিশোর রাউত। মুম্বই, দিল্লির তুলনায় কতটা স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছে মহানগরের মানুষ সেই বিষয়টাই বোঝাচ্ছিলেন তিনি। সেদিকে মন না দিয়ে মোবাইলে গল্প করতে ব্যস্ত ছিলেন কাউন্সিলর জলি বসু। অনিন্দ্য কিশোর রাউতের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর ক্ষুব্ধ মালা রায় দাঁড়াতে বলেন ওই কাউন্সিলরকে। জিজ্ঞেস করেন, ‘কেন হাউসের মধ্যে এমন ব্যবহার করছেন?’ উত্তরে একগাল হেসে দিয়েছেন কাউন্সিলর।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পায়রার পায়ে বাঁধা রহস্যময় আংটি ও ফোন নম্বর! শোরগোল জলপাইগুড়িতে]

মালা রায়ের বক্তব্য, “হতেই পারে জরুরি কথা। সেক্ষেত্রে বাইরে গিয়ে কথা বলবেন। কাউন্সিলর মেয়র পারিষদরা বক্তব্য রাখছেন, আর কেউ মোবাইল ঘাঁটছেন। গল্প করছেন!” নিয়ম অনুযায়ী অধিবেশনে মোবাইল নিয়ে আসা নিষেধ। আনলেও তা সাইলেন্ট করে রাখতে হয়। কিন্তু ফি অধিবেশনে দেখা যায় মোবাইলে ব্যস্ত কেউ কেউ। বিস্মিত চেয়ারপার্সনের প্রশ্ন, “যাঁরা এখানে বলেন তাঁরা পড়াশোনা করে আসেন। মন দিয়ে যদি সে বক্তব্য না শোনেন, আপনারা হাউজে আসেন কেন?”

Advertisement

উল্লেখ্য, সোমবার অধিবেশনে সময়ে আসার জন্য হুইপ জারি করেছিল পুরসভার চিফ হুইপ বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত। মঙ্গলবারও দেখা যায় বারোটা বেজে গেলেও অনেক চেয়ারই ফাঁকা। অধিবেশন শুরু হওয়ার পর আস্তে ধীরে আসতে দেখা যায় অনেককেই। নিয়ম অনুযায়ী ১ মিনিট দেরি হলেও অধিবেশনে প্রবেশের আগে চেয়ারপার্সনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু সে তালিকায় ছিলেন না কোনও লেট লতিফ। ক্ষুব্ধ মালা রায় জানিয়েছেন, যারা দেরি করে এসেছেন সকলকেই বলছি, গটমট করে ঢুকে পড়বেন না। পুরসভার অধিবেশনের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে।

[আরও পড়ুন: বগটুই কাণ্ডের বর্ষপূর্তিতে রাজনীতির রং, স্বজনহারাদের দলে টানতে মরিয়া TMC-BJP!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ