Advertisement
Advertisement

Breaking News

জলে ভেজাল রুখতে পুরসভার সাঁড়াশি অভিযান

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এবার ফৌজদারি ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

KMC launches drive against fake bottled water plants
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 1, 2018 8:57 am
  • Updated:September 16, 2019 12:15 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বেআইনি জলের প্রস্তুতকারক হোক বা আইন ভঙ্গকারী সংস্থা-এবার তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণের পথে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও কলকাতা পুরসভা। নকল জলের কারবারিদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের ফৌজদারি ব্যবস্থা মামলা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চকে আবেদন জানানো হবে। বুধবার কলকাতা পুরসভায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিজি, কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ, খাদ্যে ভেজাল রোধ বিভাগকে নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে এতদিন অবধি ভেজাল নিয়ে ফুড সেফটি অফিসার স্টেট ফুড সেফটি কমিশনারকে চিঠি লিখে এফএসএসএআই আইন অনুযায়ী মামলা করতেন। এবার তার সঙ্গে যুক্ত হল ফৌজদারি মামলা। এদিন মেয়র পারিষদ স্বাস্থ্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, “যারা শহরে বেআইনিভাবে জলের ব্যবসা করছে তাদের সতর্ক করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এবার ফৌজদারি ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এফএসএসএআই আইনে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। এদিনের বৈঠকের পর সেই জটিলতা অনেকটাই কেটে গেল।”

[হুজাতিক সংস্থার পানীয় জলের বোতলে কলিফর্ম, নোটিস পাঠাচ্ছে পুরসভা]

পুরসভা সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে পুরসভার অভিযানের সব তথ্য জানিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হবে চিফ মিউনিসিপ্যাল হেলথ অফিসার বা সিএফএইচওকে। পুর কমিশনারের ক্ষমতা প্রদত্ত সিএমএইচও সেই রিপোর্ট এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ডিজি বা ডিসিকে পাঠিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭২ ও ২৭৩ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আবেদন জানাবেন। এই ধারায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার, অবৈধ ব্যবসার মাল ও সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত ও কারখানা সিল করে দেওয়ার মতো ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। আবার সমান্তরালভাবে ফুড সেফটি অফিসার ২০০৬এর ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া অনুযায়ী মামলা রুজু করবে। এদিনের বৈঠকে পুরসভার, এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও এফএসএসএআইয়ের শীর্ষ কর্তারা মেনে নিয়েছেন শহরের ভেজাল রুখতে কঠোর পদক্ষেপই একমাত্র পথ। কিছু কড়া পদক্ষেপের নজির তৈরি হলেই শহরে খাদ্য হোক বা জলে ভেজাল মেশানোর বিষয়ে রাশ টানা যাবে। এরই পাশাপাশি নামী সংস্থা বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। এদিনের বৈঠকে আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে যে এতদিন অবধি ব্যবসা করার জন্য নির্ধারিত কিছু অনুমতিপত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল। এবার থেকে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কোনও অনুমতিপত্র রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। এদিন অতীনবাবু জানিয়েছে,“পুরসভার অভিযানে যে ৫৫টি জলের বৈধ ও অবৈধ ব্যবসাকারীর তালিকা তৈরি হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা বেআইনি ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সোমবারের মধ্যে সরকারিভাবে আবেদন জানানো হবে ইবিকে।”

Advertisement

[জল্পেশের মেলায় নাচতে গিয়ে নিখোঁজ নর্তকীর হদিশ, অভিযুক্ত যুবক গ্রেপ্তার]

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ