Advertisement
Advertisement

Breaking News

বর্ধিত ফি দিতে না পারায় ছাত্রকে টিসি, কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস শিক্ষামন্ত্রীর

মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছা সত্ত্বেও লাগাম টানা যাচ্ছে না একাংশের বেসরকারি স্কুলগুলির উপর।

Kolkata school expels student for 'not paying' fee
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 22, 2018 9:06 am
  • Updated:February 22, 2018 9:06 am

স্টাফ রিপোর্টার: স্কুলের বর্ধিত ফি দিতে না পারায় স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হল খুদে পড়ুয়াকে। স্কুলের এই সিদ্ধান্তে কার্যত পড়াশোনা বন্ধ হতে বসেছে প্রথম শ্রেণির ওই পড়ুয়ার। কলকাতার খিদিরপুরের আল হামদ্ স্কুলের ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেসরকারি স্কুলগুলির বৈঠকের পরও এই ধরনের ঘটনায় স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ঘটনার পর অভিভাবকরা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরও। বুধবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্কুলের বিষয়টির খবর পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও ছাত্র যাতে তার পড়াশোনা চালানোর ক্ষেত্রে বঞ্চিত না হয়, সেটা দেখা জরুরি। এর আগে আমাদের সমস্ত বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে একটা নীতি নির্ধারণ করতে হবে।”

Advertisement

[ইচ্ছে হলে রেপ করে দিতে পারি, প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে হুমকি টিএমসিপি নেতার]

গত বছর জুন মাসে টাউন হলে মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি সাফ জানিয়ে দেন, নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে মর্জিমাফিক ফি বা ডোনেশন নিলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলিকে। এবং নির্বিচারে ফি-ডোনেশনের অনিয়মে রাশ পরানোর উদ্দেশ্যে ওইদিন বৈঠকে নিয়ন্ত্রক কমিটি (স্টেট সেল্ফ রেগুলেটরি কমিটি) গড়ে দেন। সেখানে তিনি বলেন, শিক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি পড়ুয়াদের অভাব-অভিযোগ যাচাই করে পদক্ষেপ করবে। কমিটির নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকবে। অনলাইনে অভিযোগ জানানো যাবে। স্কুল পরিচালনায় আর্থিক স্বচ্ছতা রক্ষার স্বার্থে নিয়মিত অডিটের উপরও জোর দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।

Advertisement

কিন্তু তার পরও এই ধরনের অভিযোগ। কী ঘটেছিল? অভিভাবকদের অভিযোগ, সম্প্রতি এক ধাক্কায় স্কুলের ফি বাড়ানো হয় পঞ্চাশ শতাংশ। আর সেই বাড়তি ফি দিতে না পারায় প্রথম শ্রেণির ছাত্রকে টিসি দেওয়া হয়। টিসি বা ট্রান্সফার সার্টিফিকেটে ফি দিতে না পারায় তাড়িয়ে দেওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে। একজন নয়। আরও সাত-আটজন পড়ুয়ার সঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই আচরণ করেছে বলে অভিযোগ। এমনকী ফি দিতে না পারায় কয়েজন ছাত্রকে স্কুলের বাইরে দাঁড় করিয়েও রাখা হয়েছিল। যদিও এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

[পিএনবি কেলেঙ্কারির জের, রাতারাতি দোকানের নাম পালটালেন স্বর্ণ ব্যবসায়ী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ