রিংকি দাস ভট্টাচার্য: চার বছরের মোদি সরকারকে দশে তিন দিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের সাত বছরের সঙ্গে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের চার বছরের রাজত্বে এটিই তাঁর অ্যাসেসমেন্ট। সাফ জানিয়ে দিলেন, রাজ্যে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। তাই ফের পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের জয় জয়কার। যা মা মাটি মানুষের সরকারের দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রসঙ্গ উঠতেই ভেসে এল কটাক্ষ।
[সন্তান-সহ গঙ্গায় ঝাঁপ মহিলার, উদ্ধার নৌবাহিনীর টহলদারি দলের]
এই প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘চার বছরে মোদি সরকার কি করেছে মানুষ তা ভালমতোই জানে।১৫ লক্ষ টাকা করে ফেরত দেব, ১৫ পয়সাও দেয়নি। উলটে নোটবন্দির ক্ষেত্রে আমাদের গৃহবন্দি করে ফেলেছে। কয়েক হাজার কৃষক আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। কর্মসংস্থান দেবেন বলেছিলেন, তার কিছু দেননি। আচ্ছে দিন আর আচ্ছে ছিল না। তা আরও কালো দিন হিসেবে দেশকে বিক্রি করার যে চেষ্টা চার বছরের কেন্দ্রীয় সরকার করেছে তাতে ভারতবাসী হিসেবে মাথা হেঁট হয়ে যায়। প্রবীণদের অবসরকালীন অর্থের সুদ কমবে, পিএফ-এর সুদ কমবে। অস্বাভাবিকভাবে পেট্রোপণ্যের দাম বাড়বে। কার সঙ্গে কার তুলনা? এও তুলনার মধ্যেই আসে না। এ দশে তিন পাবে না একটাই ভাল কাজ করেছেন যে, প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছেন নিজের ইমেজ তৈরি করতে।আর অন্যদিকে কর্মসংস্থান হল না। লোকের টাকাকে নিয়ে গেল। নিজের দলের তহবিল বড় হল। এবং ভারতবর্ষকে রক্ত নির্ভর সমাজ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি সরকার।’
রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ান দিতে গিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আর তৃণমূল সরকার পিছিয়ে থাকা রাজ্যকে সামনের দিকে এনেছে। সমস্ত ক্ষেত্রে যে পরিষেবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিয়েছেন, গ্রামীণ অর্থনীতি যেভাবে বেড়েছে, যেভাবে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের সুযোগ এসেছে, তা এককথায় অকল্পনীয়। আমি অন্তত আমাদের সরকার বলে নয়, সাধারণ মানুষ হিসেবে এই স্বল্প পরিসর এবং তার সঙ্গে পিছনের ছ’দশকের যদি একটা সমীক্ষা করি, তাহলে এই রাজ্য সরকারকে আমি দশে দশই দেব।’
[খেলার ছলেই পড়াশোনা, সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে উচ্ছ্বসিত শহরের দুই কৃতি]
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য সরকারের দ্বৈরথ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এখনও একবছর দেরি আছে। আমরা মনে করি যতটুকু কোথাও উন্নয়ন যেখানে পৌঁছায়নি বলে লোকে বলছে, সত্যি সত্যি পৌঁছায়নি বলে মনে করি না। তাহলেও আমাদের আরও ভাল কাজ করতে হবে। সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তথা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি আস্থা রেখেছেন। আমাদের নতুন দায়িত্ব। মা মাটি মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে। শান্তি, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে হবে। এককথায় রাজ্য অনেক এগিয়েছে। জাতীয় স্তরে বিজেপি দেশকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে।’