অর্ণব আইচ: মাদক পাচারচক্রে বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস। খোদ কলকাতার বুকে পাচারে জড়িত কলেজ পড়ুয়া। বুধবার পাচারচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন পড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
[ঘুষকাণ্ডে জড়াল সহকারী পিএফ কমিশনারের নাম, ম্যারাথন তল্লাশি ইডির]
পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন খবরের ভিত্তিতে শহরে অভিযানে নামেন লালবাজারের নার্কোটিক্স বিভাগের গোয়েন্দারা। উষাপল্লি থেকে আটক করা হয় সৌমিক মুখোপাধ্যায় নামের এক পড়ুয়াকে। ২২ বছরের ওই পড়ুয়া শহরের এক নামী বেসরকারি ইনস্টিটিউটে ম্যানেজমেন্টের ছাত্র। তার কাছ থেকে এলএসডি ও এমডি নামের নিষিদ্ধ মাদক পাওয়া যায়। তাকে জেরা করে বিবেকনগরের বাসিন্দা মৃগাঙ্ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৌস্তভ কর নামের দুই পড়ুয়াকে পাকড়াও করে পুলিশ। মৃগাঙ্ক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। একটি নামী বেসরকারি সংস্থায় এমসিএ পড়ছে কৌস্তভও।
পুলিশি জেরায় জানা গিয়েছে, ‘ডার্ক ওয়েব’ থেকে মাদক ক্রয় করত মৃগাঙ্ক। তারপর বন্ধুদের সাহায্যে তা পৌঁছে দেওয়া হতো গ্রাহকদের হাতে। এভাবেই রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা। এই চক্রের শিকড় ছড়িয়ে রয়েছে দেশজুড়ে। এমনকী আন্তর্জাতিক স্তরেও চলছে চোরাচালান। বিশেষ করে ‘ডার্ক ওয়েব’ বা মাদকের অনলাইন বাজারে পয়সা ফেললেই মিলছে নিষিদ্ধ সামগ্রী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লেনদেন হচ্ছে বিট কয়েনের মাধ্যমে। ফলে টাকা কোন পথে চালান হচ্ছে তা নির্ধারণে বেগ পেতে হচ্ছে গোয়েন্দাদের।
এই প্রথম নয়, শহরে এর আগেও বেশ কয়েকজন পচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়াদের জড়িত থাকার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন ও পুলিশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভোগবাদের প্রতি বাড়তে থাকা আসক্তি পড়ুয়াদের অপরাধপ্রবণ করে তুলতে পারে।বিনা পরিশ্রমে টাকা রোজগারের হাতছানি এড়ানো অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে ওঠে না তাদের পক্ষে।
[‘স্পিড লিমিট মানতে হয়’, কলকাতা পুলিশের প্রচারে ভিলেন থেকে হিরো মেসি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.